পেনশন নিয়ে বড় ঘোষণা করল রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তর। রাজ্য সরকার পোষিত কলেজগুলির শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ফ্যামিলি পেনশনের পরিধি আরও বাড়ল। সম্প্রতি রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা ঘোষণা করা হয়। শুধুমাত্র পরিধি বাড়ানো নয়, আগে এই ফ্যামিলি পেনশনের আওতায় ছিলেন সেই সরকার পোষিত কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী,এবং তাঁর অবর্তমানে তাঁর স্ত্রীর পাশাপাশি তাঁর অবিবাহিত, ডিভোর্সি ও বিধবা কন্যা সন্তানরা। তবে এবার এই ফ্যামিলি পেনশনের আওতায় আনা হল কলেজ কর্মীদের প্রতিবন্ধী অর্থাৎ মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে বিশেষভাবে সক্ষম সন্তানদের।
গত ৮ ডিসেম্বর রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের তরফে ফ্যামিলি পেনশন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, ছেলে বা মেয়ে যাই হোক না কেন যদি তাঁরা বিশেষভাবে সক্ষম হন ও ২৫ বছর পরেও উপার্জনে অক্ষম হন তবে তাঁরা আজীবন বাবা বা মায়ের ফ্যামিলি পেনশন পাবেন। উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের এই ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারও।
আগে রাজ্য সরকার পোষিত কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের অবর্তমানে ফ্যামিলি পেনশন পেতেন ওই কর্মীর স্ত্রী। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে গত বছর এই ফ্যামিলি পেনশনের আওতায় আনে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর অবিবাহিত, বিধবা ও ডিভোর্সি কন্যা সন্তানদের। সেক্ষেত্রে সময়সীমা রাখা হয়েছিল ২৫ বছর। তবে এবার এই পেনশনের পরিধি ২৫ বছর থেকে বাড়ানো হয়েছে।
তবে রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের তরফে বলা হয়েছে, যদি সরকার পোষিত কলেজের কোনও শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর প্রতিবন্ধী সন্তান থাকে ও অবিবাহিত, ডিভোর্সি বা বিধবা কন্যা সন্তানও থেকে থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী সন্তানই এই অগ্রাধিকার পাবেন। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার পোষিত কলেজের অধ্যাপক ও শিক্ষা কর্মীদের পেনশনের পরিমাণ নির্ভর করে কাজের সময়কাল ও তাঁদের বেতনের উপর। তবে পেনশনের আওতায় আসতে গেলে কমপক্ষে ১০ বছর চাকরি করতে হবে ওই কর্মীকে। নাহলে পেনশন পাবেন না সেই কর্মী।