অমিত শাহের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা সোমেন ও সেলিমের

মঙ্গলবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডাের স্টেডিয়ামে সভা করেন বিজেপি'র সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। (Photo: IANS)

মঙ্গলবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডাের স্টেডিয়ামে সভা করেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি এদিন বলেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, হিন্দু-বৌদ্ধ-শিখ শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কেউ দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করবে না।

এই শরণার্থীদের তালিকা থেকে মুসলিমদের নাম বাদ দিয়েছেন অমিত শাহ। এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সােমেন মিত্র বলেন, অমিত শাহ ভারতবর্ষের ইতিহাস জানেন না। স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁদের ভূমিকাও তেমন ছিল না। দেশকে স্বাধীন করতে হিন্দু-মুসলিম একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই সংগ্রাম করে রক্ত ঝরিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। তিনি এসব জানেন না বলেই তাঁর পক্ষে এ সমস্ত কথা বলা সহজ। আমরা কংগ্রেস দলটা করি। আমরা ইতিহাসটা জানি। তাই ওনার মতাে বলতে পারি না। বিজেপি হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে ফারাক তৈরি করার চেষ্টা করছে কিন্তু তাঁরা জানে না বাংলার মাটি শক্ত ঘাঁটি। এরকম বহু অমিত শাহ এসেছেন, গেছেন। তাঁদের যা লক্ষ্য তাতে তাঁরা কোনও ভাবেই পৌঁছতে পারবেন না। কারণ তাঁরা বাংলার মানুষকে চেনেন না। তাঁদের এই স্বপ্ন বাংলার মানুষ কখনােই সত্যি হতে দেবেন না।

অপরদিকে, সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম এপ্রসঙ্গে বললেন, উৎসবের মেজাজের মধ্যেই ধর্মের নামে বিভাজনের কথা উসকে দেওয়ার কাজ চলছে। দেশের মধ্যে এনআরসি নিয়ে যা করা হচ্ছে তাতে দেশে নতুন করে উদ্বাস্তু সমস্যার সৃষ্টি হতে চলেছে। অমিত শাহ কাউকে গাজর দেখাচ্ছেন আবার কাউকে লাঠি দেখাচ্ছেন। যদিও এখন আর গাজর দেখানাের কিছু নেই তাই লাঠি দেখাচ্ছেন। বিজেপি একটি অংশকে ভাগ করে অপর অংশের বিরুদ্ধে লড়াতে চাইছেন। যদিও মানুষ তাঁদের এই বিভাজনের রাজনীতি মেনে নেবেন না।