মুখ্যমন্ত্রীর এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্ক দেখা দিয়েছে। দলের প্রার্থী সুব্রত মুখােপাধ্যায়ের প্রচারে রঘুনাথপুরের সাতুড়িতে এক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টাকা-পয়সা আমার কাছে নাে ম্যাটার। তাই নরেন্দ্র মােদিরা বাংলায় এসে বলে মমতা ব্যানার্জি ভােলাবাজ, তখন শুনলে আমার মনে হয় দিই ঠাসিয়ে একটা ভালাে করে গণতন্ত্রের থাপ্পড়।’
তিনি বলেন, নিজেকে বিকিয়ে দিয়ে বা দুর্বল করে রাজনীতি তিনি করেন না। নিজের অভিজ্ঞতার কথা কলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নাম করে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Advertisement
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কঠোর সমালােচনা করা হয়েছে জেলা বিজেপি’র তরফে। জেলা বিজেপি সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবতী বলেন, একজন মুখ্যমন্ত্রী এভাবে কথা বলতে পারেন কিভাবে? কে কাকে থাপ্পড় মারে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে ২৩ মে।
Advertisement
এদিন বিজেপি ও মােদিকে আক্রমণ করার সঙ্গে সঙ্গে রঘুনাথপুরে শিল্পায়ন নিয়ে দীর্ঘ বক্তৃতা দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী রঘুনাথপুরে শিল্প প্রতিষ্ঠার জন্য নানা কর্মসূচির উল্লেখ করে বলেন, আর কিছুদিনের মধ্যেই এখানকার চিত্র বদলে যাবে। ২৬০০ একর জমির উপর তৈরি হবে ইকোনমিক করিডাের। অমৃতসর-দিল্লি করিডর। ডানকুনি, পানাগড়, দুর্গাপুর হয়ে রঘুনাথপুর চলে আসবে। সব মিলিয়ে হবে হাজার হাজার কর্মসংস্থান।
এদিন দলের নানা সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। দরিদ্র মানুষের জন্য রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলির কথা বলেন। তবে চিরাচরিত ভাবেই তিনি আক্রমণ করেন বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে। কটাক্ষ করে বলেন, ‘নরেন্দ্র মােদি এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী। তৃণমুল থাকা মানে মানুষ নিরাপদ।’ নোটবন্দ , জিএসটি, কর্মসংস্থান, মূল্যবৃদ্ধি, এনআরসি সহ একাধিক ইস্যু তুলে ধরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি।
কালাে টাকার প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি’র দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে দেদার কালাে টাকা খরচ করেছে বিজেপি। কিন্তু এই কালাে টাকা বিলিয়ে বিজেপি যাতে ভােট কিনতে না পারে তার জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন করেন তিনি।
Advertisement



