• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

চাঁচলে এসআইআর আতঙ্কে আত্মহত্যার চেষ্টা এক যুবকের

নিজের শ্বশুরবাড়িতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার করেন বলে পরিবার সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে

প্রতীকী চিত্র

এসআইআর আতঙ্কে ভুগছে রাজ্যবাসী। সেই আতঙ্কে ফের এক যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা বলে অভিযোগ। ভোটার কার্ডে বাবার নাম নিয়ে গণ্ডগোল থাকার খবর সামনে এসেছে। নিজের শ্বশুরবাড়িতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার করেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। বর্তমানে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই যুবক। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

যুবকের নাম রাজেশ মহম্মদ। বাড়ি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুরের নাজিরপুর গ্রামে। স্থানীয় একটি ইটভাটায় কাজ করেন রাজেশ। ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর বাবার নামে গণ্ডগোল রয়েছে বলে খবর। বাবা আদিল মহম্মদের জায়গায় রাজেশের নাম রয়েছে। তা নিয়েই উদ্বেগ দেখা দেয় রাজেশের মধ্যে। এর মধ্যে এসআইআর ঘোষণায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রাজেশ। সম্প্রতি শ্বশুড়বাড়ি ছিলেন ওই যুবক। সেখানেই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তাঁকে তড়িঘড়ি চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

হাসপাতালে রাজেশের সঙ্গে দেখা করতে আসেন হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘সবার কাছে অনুরোধ এসআইআর নিয়ে কেউ আতঙ্কিত হবেন না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা বাংলার মানুষের পাশে রয়েছেন। এসআইআর-এ একটাও বৈধ ভোটার বাতিল হলে লক্ষাধিক লোক নিয়ে দিল্লি স্তব্ধ করে দেওয়া হবে। বিজেপির সমস্ত ছোট, বড় নেতাদের বাংলা থেকে বিতাড়িত করা হবে।‘

Advertisement

উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক জায়গায় এসআইআর আতঙ্কে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এসআইআর ঘোষণার পর প্রথম আত্মঘাতী হন পানিহাটির প্রদীপ কর। এরপর বীরভূমের ইলামবাজারের ক্ষিতীশ মজুমদার, টিটাগড়ের কাকলি সরকারও আত্মহত্যা করেন। প্রত্যেকের পরিবারের দাবি, এসআইআর আতঙ্কেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। এসআইআর আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরের বাসিন্দা বিমল সাঁতরা এবং হুগলির ডানকুনির হাসিনা বেগমের। আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের শেখ সিরাজউদ্দিনেরও।

গত মঙ্গলবার হাওড়ার উলুবেড়িয়ার জাহির মাল ও মুর্শিদাবাদের কান্দির মোহন শেখের আত্মঘাতী হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আত্মহত্যা করেন সফিউল গাজি। মুর্শিদাবাদের জিতেন রায় নামে এক ব্যক্তিরও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এসআইআর আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল ও পরিবারের। বৃহস্পতিবার এসআইআর আতঙ্কে বহরমপুরের ব্যক্তি তারক সাহার আত্মহত্যার খবর সামনে এসেছে। ৭ নভেম্বর একসঙ্গে তিনজনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে।

জলপাইগুড়ির নরেন্দ্রনাথ রায়, কুলপির শাহাবুদ্দিন পাইক এবং শেওড়াফুলির যৌনকর্মী বিতি দাস এসআইআর আতঙ্ক থেকে আত্মহত্যা থেকে করেছেন বলে অভিযোগ। এসআইআরের প্রতিবাদে ইতিমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পথে নেমেছেন। বহু কর্মী-সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে মিছিল করেন দু’জনে। রাজ্যবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দেন তাঁরা। তারপরেও রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে মৃত্যুমিছিলের খবর আসছে।

 

 

Advertisement