মোদির করোনা বৈঠকে ‘ব্রাত্য বক্তা’ মমতা, ক্ষোভ তৃণমূলে, কটাক্ষ দিলীপের

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

মোদির করোনা বৈঠকে বক্তার তালিকায় নাম নেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই ইস্যুতে মোদির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা। ট্যুইট করে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বললেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে এত ভয় পান যে বলতে দেবেন না।

অন্যদিকে মমতা করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার এবং বুধবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ভিডিও বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ বুধবার দ্বিতীয় দফায় যেসব রাজ্যের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক, সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু মোদির করোনা বৈঠকে বক্তাদের তালিকায় নেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এই নাম বাদ পড়া নিয়ে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ওঁর আর বলার কিছু নেই।

এই প্রসঙ্গে মোদি সরকারের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম লেখেন, গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার প্রচেষ্টায় আবারও কেন্দ্রীয় সরকার। সুপরামর্শ ও গঠনমূলক সমালোচনা গ্রহণ করতে অপারগ বিজেপি সরকার। তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বললেন, মুখ্যমন্ত্রীকে এত ভয় পান যে, তাঁকে কথা বলেত দেলে না। তাহলে তাঁকে বৈঠকে ডাকলেন কেন?


তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দীনেষ ত্রিবেদী কেন্দ্রকে বিধে লিখেছেন, করোনা নিয়ে মমতার সমালোচনা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বৈঠকে নীরব দর্শক হিসেবে রাখা হয়েছে বাংলাকে, তা বাংলার মানুষ কোনওদিনই ক্ষমা করবে না। বলবার সুযোগ না থাকায় আজকের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নীরব শ্রোতা হয়ে উপস্থিত থাকবেন, নাকি তার কোনও প্রতিনিধি থাকলে, তা নিশ্চিত নয়।

তবে দিলীপ ঘোষ বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আর বলার কিছু নেই। তাই ওঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। দিলীপবাবু আরও অভিযোগ করেন, এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ছ’টি বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে। ক’টায় থেকেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী?

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা করছিল রাজ্যের তৃণমূল সরকার। সেই সঙ্গে অপরিকল্পিতভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানোর প্রসঙ্গে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনগুলিকে করোনা এক্সপ্রেস বলে মন্তব্য করতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। যে শব্দবন্ধকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগায় বিজেপি ফের নতুন কোনও বিতর্কের রাস্তায় না গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বলবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হল বাংলাকে।