গরিব মানুষের ১০০ দিনের কাজ কেড়ে নিয়েছে শুভেন্দু: স্নেহাশিস

নিজস্ব চিত্র

নন্দীগ্রামের গরিব মানুষের ১০০ দিনের কাজ কেড়ে নিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বানে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত একটি বিশাল জনসভায় এই মন্তব্য করেছেন পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা ও এসআইআর–এর মাধ্যমে বাংলার প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এই মঞ্চ থেকে এসআইআর পর্বে যাঁরা শুনানিতে ডাক পাবেন
তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন স্নেহাশিস।

এদিনের এই সভায় পরিবহনমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজিত রায়, উত্তম বারিক, জ্যোতির্ময় কর, শেখ সুপিয়ান, আবু তাহের,বাপ্পাদিত্য গর্গ সহ ব্লক কোর কমিটির সদস্যরা। অনুষ্ঠানে স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘বিজেপি বাংলা বিরোধী। তারা বাংলার গরিব মানুষকে ভাতে মারতে চায়। তাই ১০০ দিনের কাজ থেকে বাদ দিয়েছে, আবাস যোজনা থেকে বাদ দিয়েছে , আর এখন এসআইআর–এর মাধ্যমে ভোটার তালিকা থেকেও গরিব মানুষকে বাদ দিতে চায়। এই নন্দীগ্রামের গরিব মানুষের ১০০ দিনের কাজ কেড়ে নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।’

স্নেহাশিস জানিয়েছেন, এসআইআর-এর কারণে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন হিন্দুরা। তাঁর কথায়, ‘যাঁরা ওপার বাংলা থেকে উদ্বাস্তু হয়ে এপার বাংলায় এসেছিলেন, তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় উঠলে বিজেপির কষ্ট হচ্ছে। গরিব মানুষের বাড়ির দলিল থাকে না। তাঁরা এসআইআর পর্বে সবথেকে বিপদে পড়েছেন। তাঁদের বিপদে ফেলেছে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীরা এর জন্য দায়ী।’ স্নেহাশিস মনে করিয়ে দেন, শুভেন্দু গোটা বাংলায় সভা করে বলেছিলেন, এসআইআর–এর ফলে বাংলার ভোটার তালিকা থেকে এক কোটি রোহিঙ্গা বাদ যাবে। কিন্তু দেখা গেল, এসআইআর–এর জন্য সব থেকে বেশি বিপদে পড়েছেন হিন্দুরা।


স্নেহাশিস আরও জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী চক্রান্ত করে গরিব মানুষদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সর্বোতভাবে চেষ্টা করেছে যাতে বাংলার একজন প্রকৃত ভোটারের নামও বাদ না যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই দিকে বিশেষ নজর রেখেছিলেন বিএলএ–২–রা।