মােদির পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন শুভেন্দু

শুভেন্দু অধিকারী (File Photo: IANS)

বিজেপিতে তিনি যােগদান করেছিলেন অমিত শাহের হাত ধরে। সেই সময়ই জল্পনা তৈরি হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু সে দেখা হয়নি। অবশেষে ভিক্টোরিয়া মেমােরিয়ালে নেতাজির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি ও শুভেন্দু অধিকারীকে দেখা গেল একই ফ্রেমে। 

এদিন দুজনের মধ্যে প্রায় চার মিনিট কথা হয়। সেই সময় অদূরেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মােদিকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন শুভেন্দু। ভিক্টোরিয়া মেমােরিয়ালের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যখন পৌছান তখন তাঁকে স্বাগত জানাতে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘােষ, মুকুল রায় ও সঙ্গে শুভেন্দুও। 

সকলকে নমস্কার করে মােদি সামনের দিকে এগােতে থাকেন। তারপর মােদি আচমকাই শুভেন্দুর সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। প্রথম হাত জড়াে করে নমস্কার পরে সামনে ঝুঁকে মােদির পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন শুভেন্দু। প্রধানমন্ত্রী হেসে বলেন, ‘শুভেন্দু, তুম আচ্ছা কাম কর রহে হো। হামে সব খবর হ্যায়।’ 


এরপর দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেন্দুর সাক্ষাৎ হয় চা চক্রে। অতিথিরা বিভিন্ন টেবিলে বসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সব টেবিলের সামনে গিয়ে নমস্কার করেন। একটি মাত্র টেবিলের সামনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মুখ খােলেন। তা হল শুভেন্দুর টেবিল। 

যদিও এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুভেন্দুর দুরত্ব চোখে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুরেও তাকাননি। তবে মুকুলের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত কুশল বিনিময় হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 

এদিন নরেন্দ্র মােদির কলকাতা সফর ঘিরে বিজেপির বহু নেতার আনাগােনা ছিল। মােদি যখন নেতাজি ভবনে যান সেখানে দেখা যায় স্বপন দাশগুপ্ত, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের। যদিও শুভেন্দু পৌছে গিয়েছিলেন ভিক্টোরিয়ায়। পড়ন্ত বিকেলে মােদি ভিক্টোরিয়ায় প্রবেশ করতে শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। কয়েক ফুট দূরে ছিলেন মমতা। এরপর মমতা-মােদি ভিক্টোরিয়ার ভিতরে ঘুরে দেখেন। চাদর পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হলেও মােদি মমতার দূরত্বই এদিন চোখে পড়েছে।