অক্টোবরে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল রাজ্যের প্রশাসনে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে তাঁদের উত্তরীয় পরিয়ে দলে স্বাগত জানান তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। প্রত্যাবর্তনের পর তৃণমূল ভবন থেকে অভিষেকের কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন শোভন–বৈশাখী।
তাঁদের ছবি পোস্ট করে এক্স হ্যান্ডলে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে লেখা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রেখে তৃণমূলে যোগদান করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব তাঁদের প্রত্যাবর্তনকে অনুমোদন দেওয়ায় তাঁরা দলে ফিরতে পেরেছেন। শোভন জানিয়েছেন, তাঁর ধমনী, শিরা সবটাই তৃণমূলের। তৃণমূলই তাঁর ঘর–সংসার। তৃণমূলে যোগদান করে দলকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার নিয়েছেন শোভন।
গত সেপ্টেম্বর মাসে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শোভন–বৈশাখীর বৈঠকের পর মনে করা হয়েছিল তাঁদের দলে প্রত্যাবর্তন শুধু সময়ের অপেক্ষা। অক্টোবর মাসে দুর্যোগবিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে দার্জিলিঙে বেড়াতে গিয়েছিলেন শোভন ও বৈশাখী।
সেই সময় দার্জিলিঙের রিচমন্ড হিলে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। তারপরই শোভনকে নিউটাউন কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদের (এনকেডিএ) চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ করে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। নভেম্বর পড়তে না পড়তেই এবার দলে প্রত্যাবর্তন হল শোভন–বৈশাখীর।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কলকাতার মেয়র পদ ও রাজ্যের মন্ত্রীসভা ছেড়ে দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ২০২১ সালে তিনি দিল্লিতে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু গেরুয়াশিবিরে তিনি বেশিদিন থাকতে পারেননি। এর মধ্যে তাঁর তৃণমূলের ফেরার জল্পনা তৈরি হলেও ফলপ্রসূ হয়নি। এবার অবশেষে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরলেন।
দলের অন্দরে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে, বেহালা পশ্চিমে শোভনকে প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এই আসনের বর্তমান বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন। পার্থর জেলমুক্তি হলেও তাঁকে আসন্ন নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হবে না বলেই অনুমান করা হচ্ছে। তাই এই আসনে শোভনকে প্রার্থী করা হতে পারে। যদিও এই নিয়ে মতবিরোধও রয়েছে।