অক্ষয় তৃতীয়াতে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হতে চলেছে। তার আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত একাধিক নির্দেশিকা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে মহাকুম্ভের দুর্ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেই বেদনাদায়ক স্মৃতি থেকে শিক্ষা নিয়ে একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন মমতা। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, মন্দির উদ্বোধনের ফলে দিঘার আরও উন্নতি হবে। কর্মসংস্থান ও রোজগারও বাড়বে।
বুধবার নবান্নে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইসকন, ভারত সেবাশ্রমের প্রতিনিধিরাও। সেখানে মমতা মন্দির উদ্বোধনের সময় দিঘার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে জোর দিতে বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মহাকুম্ভে অনেক লোক মারা গিয়েছে। সেই সব ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এর জন্য নোডাল অফিসারদের নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি ভালোভাবে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এর জন্য আগে থেকে পরিকল্পনা করার বার্তা দিয়েছেন মমতা। তাঁর নির্দেশ, কোনও একজন মানুষেরও যেন অসুবিধা না হয় তা দেখতে হবে।
Advertisement
মমতা জানিয়েছেন, ২৯ এপ্রিল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্য দ্বৈতাপতি রাজেশ দ্বৈতাপতি ও তাঁর টিম দিঘার মন্দিরে যজ্ঞ করবেন। যেখানে যজ্ঞ হবে সেখানে জায়গা অনেক কম। তাই শুধুমাত্র অনুমতিপ্রাপ্তরা সেখানে থাকতে পারবেন। পরের দিন ৩০ এপ্রিল সকাল ১১টায় হবে প্রাণপ্রতিষ্ঠা। উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। এই দুটি অনুষ্ঠানের আগেই ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যের মধ্যে সকলকে দিঘায় পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৭ তারিখ থেকেই অরূপ বিশ্বাস, পুলক রায়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু ও ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত দিঘায় থাকবেন। অতিরিক্ত জনসমাগম এড়াতে ও সকলের কাছে উৎসবের মুহূর্ত পৌঁছে দিতে ব্লকে ব্লকে এলইডি স্ক্রিন লাগানো হবে।
Advertisement
Advertisement



