অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সন্দেশখালিতে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা

Written by Subhash Pal February 10, 2024 4:52 pm

কলকাতা, ১০ ফেব্রুয়ারি: সিপিএম ও বিজেপি-র উস্কানিতে গণবিক্ষোভ সামিল হয়েছেন একদল মানুষ। সন্দেশখালিতে গত দুই দিন ধরে এই বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। গত দুই দিন ধরে এই অভিযোগ উঠছিল শাসকদলের পক্ষ থেকে। শাসকদলের নেতা ও মন্ত্রীরা এই নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল বসিরহাট মহকুমার পুলিশ ও প্রশাসন।

গতকাল রাত ৯টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ত্রিমোহনী বাজার সহ গোটা সন্দেশখালিতে এই আইন বলবৎ করা হয়েছে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। চলছে রুট মার্চ। বিশাল পুলিস বাহিনী সহ পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও এলাকায় তদারকি করছেন। মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। এজন্য এলাকাজুড়ে চলছে মাইকিং। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। আগামী নোটিশ জারি না করা  পর্যন্ত  সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।

এর আগে শুক্রবার বিকালে সাংবাদিক বৈঠক করে এডিজি আইন শৃঙ্খলা মনোজ বর্মা জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। তিনি বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, কেউ যদি আইন নিজের হাতে নিতে চান, তবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। এরপরই রাতে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা।

আজ শনিবারও এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু পুলিশের কড়া প্রহরায় সেটা আর সম্ভব হয়নি। এদিকে আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিন্ত পুলিশ তাঁদের এলাকায় ঢুকতে দেয়নি। রাস্তায় একাধিক জায়গায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে।

শুধু তাই নয়, সন্দেশখালিতে নেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক পদক্ষেপও। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতায় তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারকে দল থেকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। আজ একথা জানিয়েছেন পার্থ ভৌমিক।

সূত্রের খবর, গতকাল গভীর রাতে উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে ডেকে পাঠান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক সহ অন্যান্যরা। সেখানে অভিষেক উত্তম সর্দারকে ছয় বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরে জেলা পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা শেখ শাহজাহানের ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত। তাঁর মুরগির খামারে আগুন ধরিয়ে দেয় একদল বিক্ষোভকারী গ্রামবাসী। বিক্ষুব্ধরা লাঠি, বাঁশ নিয়ে টানা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এছাড়া এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের আর এক সদস্য উত্তম সরদার। তিনি বিক্ষোভকারীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এলাকার শান্তি বজায় রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় সন্দেশখালিতে।