১৬ই নভেম্বর থেকে রাজ্যে খুলছে স্কুল: মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ছবিঃএসএনএস)

আগামী ১৬ই নভেম্বর থেকে রাজ্যে খুলছে স্কুল সোমবার শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এই নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গে পাঁচদিনের সফরে সোমবার শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা হয়।

উত্তরকন্যায় জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার যাবেন কার্শিয়ঙে। মঙ্গল ও বুধবার সেখানে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী কালিম্পং ও দার্জিলিং জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

এরপর ২৮ অক্টোবর উত্তরবঙ্গ থেকে গোয়া যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ২০ মাস পরে খুলতে চলেছে এবার স্কুল-কলেজ। প্রথমে নবম থেকেদ্বাদশ শ্রেণি এবং কলেজ খোলা হবে। তারপর অন্যান্য ক্লাস হবে।


তবে খোলার আগে স্কুলগুলো পরিস্কার করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন শিলিগুড়ি উত্তর কন্যায় উন্নয়নের গতি এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পর্যটন থেকে স্বাস্থ্য শিক্ষা সব বিষয়েই তিনি উন্নয়নের বিভিন্ন নির্দেশ দেন।

রাজ্যে পনের হাজার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রকেও সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা জানান তিনি। দুয়ারে সরকার বা লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য যাদের আবেদনপত্র আগে জমা নেওয়ার কাজ আগে বাদ পড়েছে তাদের আবেদনপত্র আবার গ্রহণ করা হবে জগদ্ধাত্রী পুজোর পর থেকে।

এদিকে এদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উপস্থিতিতে উত্তর প্রদেশের কংগ্রেসের নেতা তৃণমুলে যোগ দিলেন। তারা হলেন লোলিতেশপতি ত্রিপাঠী, রাজেশপতি ত্রিপাঠী। ১৯ তারিখে কংগ্রেস ছাড়েন লোলিতেশপতি ত্রিপাঠী।

সোমবার প্রশাসনিক বৈঠক সেরে উত্তর কন্যার বাইরে এসে কংগ্রেসের ২ নেতাকে তৃণমূলে স্বাগত জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি জানান, ছট পুজোর পর উত্তর প্রদেশের বারানসি যাবেন তিনি।

এছাড়া উত্তরপ্রদেশের শাসকদলকে কটাক্ষ করে বলেন, থালা বাজাতেই ব্যক্ত বিজেপি, কাজ হচ্ছে না কোনো। বিজেপি শাসিত রাজ্যে যেতে বাধা হচ্ছে।

এছাড়া গোয়াই তৃণমূলের কর্মসূচির অনুমতি মেলেনি, অনুমতি না পেলে রাস্তায় আন্দোলনে নামবেন তারা। মধ্যেই কবে ফের স্বাভাবিক হবে স্কুল-কলেজ, অনলাইন না অফলাইনে হবে ক্লাস, সেই প্রশ্ন সকলের মনে।

শিলিগুড়ির প্রশাসনিক বৈঠক থেকে উত্তর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীপুজোর পর ১৫ নভেম্বর স্কুল খোলার নির্দেশ দিলেন তিনি। সোমবার শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ই পড়ুয়াদের সুবিধার্থে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন। এরপরই মুখ্যসচিবকে স্কুল খোলার নির্দেশ দেন।

এদিন মুখ্যসচিবকে উদ্দেশ করে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ১৫ তারিখ থেকে স্কুল-কলেজ খোলা হোক। তার আগে দু’সপ্তাহের স্যানিটাইজেশনের কাজ শেষ করতে হবে।

অর্থাৎ পুজোর মরশুম শেষ হতেই ফের কলেজমুখো হবে পড়ুয়ারা। তবে নিয়মিত ক্লাস করানো হবে কি না, করোনা পরিস্থিতিতে প্রতি ক্লাসে কতজন পড়ুয়া থাকবেন, এ বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য মেলেনি।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মার্চে রাজ্যে করোনা থাবা বসানোর পরই খুদেদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে স্কুল-কলেজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য। তারপর দেড় বছরের বেশি সময় পেরিয়েছে। তা সত্ত্বেও করোনার কারণে স্কুল খোলা সম্ভব হয়নি। অনলাইনে চলছিল ক্লাস।