সােমবার দিদির দুর্গে শুভেন্দু আবার শুভেন্দুর গড়ে দিদি

শুভেন্দু অধিকারী এআইটিসি (@SuvenduAdhika20/Twitter) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

১৮ জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী যখন শুভেন্দুর গড়ে সভা করবেন, ঠিক তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক দক্ষিণ কলকাতায় পদযাত্রা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনটাই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। লড়াই হবে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে। বিজেপির এই কৌশল তা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শিশির অধিকারীকে।

পূর্ব মেদিনীপুরে বিভিন্ন ব্লকে এবং জেলায়, জেলা পরিষদে, পুরসভায় শুভেন্দু অনুগামীদের সরিয়ে দিচ্ছে শাসক দল। এবার পাল্টা দিচ্ছে বিজেপিও। তৃণমূলকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে না চেয়ে দক্ষিণ কলকাতায় এবার পদযাত্রা করতে চলেছেন শুভেন্দু। টালিগঞ্জ ট্রামডিপাে থেকে হাজরা মােড় পর্যন্ত পদযাত্রা করার কথা শুভেন্দুর। উল্লেখ্য, এর আগে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘বাবুসােনা তােমার বাড়িতেও পদ্ম ফোটাবাে।’ ফলে এই পদযাত্রা থেকে হরিশ চ্যাটার্জি, হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটের বাড়িতে সত্যি সত্যি পদ্ম ফোটে কিনা সেটাই এখন দেখার।

এদিকে শতাব্দী রায় তৃণমূল ছাড়তে পারেন, এই নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। যদি তিনি সত্যি সত্যি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যােগদান করেন, তাহলে তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ২০-তে। এখন বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ১৮। তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল বিজেপিতে গিয়েছেন। সংখ্যার নিরিখে বিজেপির এখন সাংসদ সংখ্যা ১৯। তৃণমূলের এখন ২১। শতাব্দী যদি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যান, তাহলে বিজেপি এবং তৃণমূল দু’দলেরই সাংসদ সংখ্যা বাংলা থেকে হবে টুয়েন্টি- টুয়েন্টি।


উল্লেখ্য, কোনও সাংসদ যদি তিনি অন্য দলে যান, তাহলে আইনসভার নিয়ম অনুযায়ী তিনি যে দলের হয়ে সাংসদ হয়েছেন, সেই দল তাকে বহিষ্কার রতে পারে অথবা সেই সাংসদ যদি নিজে আইনসভায় সাংসদ পপ থেকে ইস্তফা দেন, তবেই তাঁর সাংসদপদ খারিজ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য সাংসদ পদ থেকে সুনীল মণ্ডল ইস্তফা দেননি। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে লােকসভার অধ্যক্ষের কাছে সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজ করার দাবি জানানাে হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১১ টি আসনে জয়লাভ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে অন্য দল থেকে প্রায় দু’ডজন বিধায়ক তৃণমুলে শামিল হন। সেই সংখ্যাটা বেড়ে ২২১ হয়। এখন প্রশ্ন, একুশের ভােটের আগেই কি তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা কমে ২০ হয়ে যাবে? এরপর জল্পনা রয়েছে শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়ে। শেষ পর্যন্ত একুশের ভােটের আগে বাংলায় বিজেপির সাংসদ সংখ্যা কত বাড়ে, তা নিয়েই জল্পনা বাড়ছে। যদিও বিজেপির পক্ষে সাংসদ সংখ্যা বাড়লেও খাতায় কলমে তাঁরাই কিন্তু তৃণমূলেরই থাকবেন।