• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

সংকল্প করা নিয়ে ঝামেলা টিএমসিপি-এবিভিপির, তিথি পেরিয়ে পুজো নন্দীগ্রামের কলেজে

সংকল্প করা নিয়ে ঝামেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের। আর এই দ্বন্দ্বের জেরে তিথি মেনে পুজোই শুরু করা গেল না নন্দীগ্রামের কলেজে।

সংকল্প করা নিয়ে ঝামেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের। আর এই দ্বন্দ্বের জেরে তিথি মেনে পুজোই শুরু করা গেল না নন্দীগ্রামের কলেজে। আর গোটা বিষয়টি শুরু হয়েছে তুমুল চাপানউতোর। দু’পক্ষই একে অপরের দিকে দায় ঠেলেছে। নির্ধারিত তিথির পরে পুজো হওয়ায় ক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের একাংশ। এর আগে কলকাতার যোগেশচন্দ্র কলেজে সরস্বতী পুজো নিয়ে তুমুল ঝামেলা হয়। পুলিশি প্রহরায় রবিবার সেখানে দুই বিভাগে আলাদা আলাদাভাবে পুজো হয়েছে।

নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজে সোমবার সকালে পুজো হওয়ার কথা ছিল। পঞ্চমী তিথি ছিল সকাল ১০টার কিছু আগে পর্যন্ত। সেই মতো সোমবার সকাল ৯টায় কলেজে হাজির হয়ে যান পুরোহিত। পুজোর জোগাড়ও প্রায় হয়েই গিয়েছিল। পুরোহিত পুজো শুরু করতে যেতেই বিপত্তি বাধে। তাঁর কাছে এবিভিপি ও টিএমসিপি সদস্যরা দাবি করতে থাকেন, কলেজের পুজোয় সংকল্প করবেন কেবলমাত্র তাঁদের প্রতিনিধিরা। নিজেদের দাবিতে অনড় ছিল দু’পক্ষই। দু’পক্ষের বাকবিতণ্ডায় পুজো করাই দুষ্কর হয়ে ওঠে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় পুরোহিত কলেজ ছেড়ে চলে যান।

Advertisement

এদিকে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলার চলতে থাকে। তার মধ্যেই ঘড়ির কাঁটা পেরিয়ে যায় ১০টা। অঞ্জলি দেওয়ার জন্য অপেক্ষারত পড়ুয়ারা চঞ্চল হয়ে ওঠে। পঞ্চমী তিথিও ততক্ষণে পেরিয়ে গিয়েছে। তখন সিদ্ধান্ত হয়, এবিভিপি, টিএমসিপি – উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরাই সংকল্প করবেন। এরপর ফের পুরোহিতকে ডাকা হয়। প্রায় ১১টা নাগাদ তিনি আসেন। এরপর পুজো শুরু হয় নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজে।

Advertisement

Advertisement