সায়নী থেকে শতাব্দী,  রবিবারের ব্রিগেডে হাইভোল্টেজ র‌্যাম্প

Written by SNS March 10, 2024 6:39 pm

কলকাতা, ১০ মার্চ – ব্রিগেড সমাবেশের আগেই চর্চায় উঠে এসেছিল ব্রিগেডে নির্মিত তৃণমূলের  র‌্যাম্প । তৃণমূলের ব্রিগেডে মূলমঞ্চে আটকে না থেকে যাতে জনতার মাঝে পৌঁছে যাওয়া যায় সেভাবেই তৈরী ছিল মঞ্চ। তৃণমূল কংগ্রেসের ঘোষিত ৪২ প্রার্থীর রাম্প শোয়ে এদিন নেতৃত্ব দেন মমতা ও অভিষেক। ৪২ জন প্রার্থীর নাম পড়ে শোনান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আর সব প্রার্থীদের নিয়ে রাম্পে হাঁটেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘জনগর্জন সভা’য় প্রার্থী তালিকায় মহিলা প্রার্থীদের সাজ ছিল চোখে পড়ার মতো। 

বিদেশের মিউজিক কনসার্টে তৈরী হয় এমন র‌্যাম্প। ৩৩০ ফুট লম্বা এই র‌্যাম্প ছিল মূল মঞ্চের সামনে। কয়েক লাখ জনতার মাঝে প্রথমে নেতৃত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরণে ছিল সবুজ পাড়, সাদা শাড়ি। আঁচলে জামদানি কাজ। চেনা ছন্দে মঞ্চ থেকে জনতার মাঝে পৌঁছে যান দলনেত্রী। 
 
ব্রিগেডের সভায় মমতার ঠিক পিছনেই র‌্যাম্পে হাঁটেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে বড় চমক রচনা। রচনার পরনে ছিল পেঁয়াজ রঙা কাঁথা স্টিচের সিল্কের শাড়ি। শাড়ির পাড়ে ফুলকারি কাজ। কলার দেওয়া থ্রি কোয়ার্টার সাদা ধবধবে ব্লাউজ। খোলা চুল, ছিমছাম সাজে সবার নজর কাড়েন  ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।২০২৪-এর  লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে হুগলি থেকে লড়বেন রচনা।
 
সাজ পোশাকে সবসময়ই নজর কাড়েন মহুয়া মৈত্র। এদিনের তৃণমূলের ব্রিগেডের সভার ভিড়েও আলাদা করে নজর কেড়ে নেন তিনি। তাঁর পরনে ছিল হালকা গোলাপি রঙের চেক নকশার লিনেন শাড়ি। কপালে বড় টিপ, চোখে সানগ্লাস, খোলা চুলে উজ্জ্বল তারকার মতোই রাম্পে হাঁটেন মহুয়া মৈত্র। নাম ঘোষণার পরেই ব্রিগেডের মঞ্চে দেখা যায় তাঁকে।
 
জুন মালিয়ার পরনে ছিল সাদা ধবধবে সুতির শাড়ি।  নীল রঙা চওড়া পাড়ের শাড়ি, গোটা শাড়ি জুড়ে নীল রঙা হাজার বুটি। চুলে খোঁপা,  কালো মোটা ফ্রেমের চশমা, হালকা মেকআপে জুন এদিন ঝলমলে না হলেও স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে দেন। অনেকটা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদলে সাদামাঠা ছিল জুনের সাজ । মেদিনীপুর আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন তিনি।
সায়নী ঘোষকে শাড়িতেই বেশির ভাগ সময় দেখা যায়। ব্রিগেডের র‌্যাম্পে হাঁটার সময় সায়নীর পরনে ছিল লাল ও সবুজ পাড়ের সাদা সুতির শাড়ি। মাথায় উঁচু করে খোঁপা, কপালে কালো টিপে যথেষ্ট আত্মপ্রত্যয়ী মনে হয়েছে তাঁকে । নাম ঘোষণা হওয়ায় পর  মঞ্চের সামনে এগিয়ে এসে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন তিনি। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর বদলে তৃণমূলের হয়ে টিকিট পেলেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ ।
 
ব্রিগেডের র‌্যাম্পে রবিবার নীলাম্বরী শাড়িতে ঝলমলে দেখাল অভিনেত্রী শতাব্দী রায়কে। তাঁর পরনে ছিল নীল জর্জেটের শাড়ি। গোটা শাড়িতে  সাদা সুতো দিয়ে ফুলের নকশা  চোখে চশমা,  খোলা চুলে ব্রিগেডে সবার নজর করেন শতাব্দী রায়।
 
শনিবারই তৃণমূলের মঞ্চকে জলসা ও ফ্যাশন প্যারেড শো বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী।  তবে রবিবারের হাইভোল্টেজ সভায় সব কটাক্ষকে উপেক্ষা করে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে তৃণমূলের মহিলা প্রার্থীদের।