ধর্মতলায় চলা আমরণ অনশন প্রত্যাহার করে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ১২৮ মিনিটের বৈঠক থেকে ফিরে এই সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। একই সঙ্গে মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ধর্মঘটও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়ার ডাক্তাররা। গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন চালাচ্ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালল কলেজে ও হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসকও যোগ দিয়েছিলেন আমরণ অনশনে।
আমরণ অনশন তুলে নিলেও নবান্নের বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তার খুব একটা সন্তুষ্ট নয়। আরজি কর মেডিক্যালের প্রয়াত ট্রেনি ডাক্তারের বাবা-মার কথাতেই অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বলে জানান জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারী এক জুনিয়র ডাক্তার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, নির্যাতিতার বাবা-মা এবং সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই তাঁরা অনশন প্রত্যাহার করেছেন। তাঁদের এই অনশন প্রত্যাহারের সঙ্গে প্রশাসনের অনুরোধের কোনও সম্পর্ক নেই।
Advertisement
আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার সুবিচার সহ মোট ১০ দফা দাবিতে গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছিলেন ৬ জুনিয়র ডাক্তার। তাঁরা হলেন – কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, স্নিগ্ধা হাজরা ও তনয়া পাঁজা, কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, এসএসকেএমের অর্ণব মুখোপাধ্যায়, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের পুলস্ত্য আচার্য। ৬ অক্টোবর আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো ধর্মতলায় অনশনে যোগ দেন।
Advertisement
কলকাতার পাশাপাশি শিলিগুড়িতে অনশনে যোগ দেন উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজের সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অলোক বর্মা। আমরণ অনশন তুলে নিলেও এখনই আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরছেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহা গণকনভেনশনের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
Advertisement



