তৃণমূলে ফিরেই বেশ কয়েক জন বিজেপি বিধায়ককে ফোন মুকুলের

মুকুল রায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo: Twitter | @abhishekaitc)

তৃণমূলে ফিরে বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ককে ফোন করলেন মুকুল রায়। তৃণমূলে যােগ দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন তাঁদের। প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য না করলেও ওই বিধায়কদের অনেকেই তাঁদের ঘনিষ্ঠ মহলে ওই ফোনের কথা জানিয়েছেন। 

শুক্রবার বিকেলে ছেলে সহ তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। এরপর রাতে বাড়ি ফিরেই বিজেপিতে থাকা তার ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের ফোন করা শুরু করেন তিনি। শনিবার সকালেও বেশ কয়েকজন বিধায়ককে ফোন করেন বিজেপির সদ্য প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সব মিলিয়ে অন্তত ১০ জন বিজেপি বিধায়ককে ফোন করেছেন বলে খবর। শাসক দলে যােগ দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন। 

উত্তরবঙ্গ থেকে জঙ্গলমহল, যেখানেই তাঁর ঘনিষ্ঠ বিজেপি বিধায়ক রয়েছেন তাঁকেই বাজিয়ে দেখেছেন মুকুল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জঙ্গলমহলের এক বিধায়ক সেকথা স্বীকারও করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, মুকুলদা আমাকে ফোন করেছিলেন। কী কথা হয়েছে, তা আমি প্রকাশ্যে বলতে চাই না। তবে আমার জবাব আমি তাঁকে জানিয়ে দিয়েছি। মুকুলদা যে আমাদের ফোন করে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা আমরা দল ও শুভেন্দু অধিকারীকে জানিয়ে দিয়েছি।


ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কেও ফোন করেছিলেন মুকুল। তাঁকে তৃণমূলে যােগ দেওয়ার কথা বলেছেন। যদিও এই ফোনের কথা মানতে চাননি শিখা। তাঁর কথায়, ‘আমাকে মুকুলদা ফোন করে কোনও প্রস্তাব দেননি। মুকুলদার জন্য রাজনীতিতে এতদূর আসতে পেরেছি, এটা ঠিকই, কিন্তু তিনি দলবদল কলেও আমি বিজেপি ছাড়ব না।’ 

বিজেপি নেতৃত্বও মুকুলের এই ফোনের কথা জানতে পেরেছেন। বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনােজ টি জানিয়েছেন, মুকুলের ফোন সম্পর্কে তারা জানতে পেরেছেন। এ ব্যাপারে রাজ্যের বিরােধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যা করার করবেন।

রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘােষ এ ব্যাপারে বলেন, ‘ওঁর অনেক পূর্ব পরিচিত আছেন। তাঁদেরকে উনি ফোন করতেই পারেন। কারা থাকবেন, কারা যাবেন, তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। বিজেপির যে ঝড় হয়েছিল তাতে অনেক ধুলােবালি দেবতার মাথায় এসে পড়ে। এ বার সেগুলাে নর্দমায় যাওয়ার সময় হয়েছে।