রেকর্ড ছুঁল টেলিমেডিসিন পরিষেবা, আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার আরও এক মাইলফলক ছুঁল। টেলিমেডিসিন পরিষেবার মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত ৭ কোটি মানুষ পরিষেবা পেয়েছেন। সোমবার এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে টেলি মেডিসিন পরিষেবা ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’ রাজ্যের প্রান্তিক ও দুর্গম এলাকায় উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সোমবার পর্যন্ত এই পরিষেবার মাধ্যমে ৭ কোটির বেশি মানুষ চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ পেয়েছেন।
মমতা আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে ১১ হাজারের বেশি হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার এবং উচ্চতর স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে ৬৩টি কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রতিদিন টেলিকনসাল্টেশন পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এই পরিষেবার মাধ্যমে ৯ হাজারের বেশি চিকিৎসক প্রতিদিন ৮০ হাজারের বেশি মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দেন। এর ফলে রাজ্যজুড়ে সাশ্রয়ী, সহজপ্রাপ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর স্বাস্থ্যসেবা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সাফল্যের নেপথ্যে চিকিৎসকদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
২০২০ সালে করোনা আবহে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা সচল রাখতে টেলি মেডিসিন পরিষেবা চালু করেছিল রাজ্য সরকার। লকডাউনের সময় গ্রামাঞ্চলে যাতে ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে যায় সেই কারণে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়। এই ব্যবস্থায় ভিডিও কলের মাধ্যমে রোগীরা চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক রোগের সঠিক ওষুধ পেতে পারেন। চিকিৎসকরা প্রেসক্রিপশন লিখে রোগীকে পাঠিয়ে দিলে সেই মতো ওষুধ কেনেন রোগী বা তাঁদের আত্মীয়রা। করোনাকালে এই পদ্ধতির মাধ্যমে অনেকে পরিষেবা পেয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সেই ব্যবস্থা করোনা পরবর্তীকালেও চলছে। সোমবার তা মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছে।