সময় চাইলেন রাজীব কুমার

রাজীব কুমার (File Photo: IANS)

সােমবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল আইপিএস রাজীব কুমারের। অন্যদিকে বারাসত আদালত চত্বরে রাজীব কুমার জামিনের আবেদন জানাতে পারেন বলে আইনজীবীদের মধ্যে ছিল কৌতূহল।

এদিন সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে গেলেও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে দেখা গেল না রাজীব কুমারকে। এরই মধ্যে হঠাৎই নজর পড়ে সিআইডি’র দুই আধিকারিকের হাতে মুখবন্ধ একটি খাম। সিবিআই সূত্র মারফত জানা যায়, তাঁরা ওই খামটি জমা দিতে এসেছিলেন।

সিবিআই সূত্রে আরও জানা যায়, খামের ভিতরে চিঠিতে উল্লেখ আছে রবিবার রাতে পারিবারিক কাজে তিনি তাঁর উত্তরপ্রদেশের বাড়িতে গিয়েছেন। তাঁকে আর সাত থেকে দশদিন সময় দেওয়া হােক। এরপর তাঁরা যেদিনই আসতে বলবে সেদিনই তিনি আসবেন।


অন্যদিকে বারাসত আদালতে সকাল থেকেই আইনজীবীদের মধ্যে ছিল টানটান উত্তেজনা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এক বর্ষীয়ান আইনজীবীর মৃত্যুতে আজ বারাসত আদালতে আইনজীবীরা কাজ বন্ধ রেখেছেন। কোনও আইনজীবী সওয়াল জবাবে সােমবার অংশ নেবেন না। তবে মামলাটি নথিভুক্ত করতে কোনও বাধা নেই।

এদিন আদালতে সিবিআই আধিকারিক ও তাঁদের আইনজীবীদের দেখা যায় আদালতে উপস্থিত থাকতে। তারপরও রাজীব কুমার আগাম জামিনের আবেদন কেন করলেন না, তা নিয়ে চিন্তিত দেখা যায় সিবিআই আধিকারিকদের। যদিও বেশ কিছু আইনজীবীর মধ্যে এটাও আলােচনা করতে শােনা যায়, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে অবকাশকালীন বেঞ্চেও আবেদন জানাতে পারেন তাঁর আইনজীবীরা।

সূত্র মারফত এও জানা যায়, যে সময়ে তাঁর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার সময় ছিল সেই সময় অতিক্রান্ত হওয়ায় তাঁর খোজ শুরু করে দিয়েছিল সিবিআই। রাজীব কুমার ঠিক কোথায় রয়েছেন, তা জানার চেষ্টায় জোরকদমে কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিক। যেমন বারাসত আদালতে নজর ছিল সিবিআই আধিকারিকের, তেমনই আর একটি দল ছিল ভবানীভবন সংলগ্ন এলাকায়।

অন্য আর একটি দল পাকস্ট্রিটে কড়া নজরদারি চালাচ্ছিল তাঁরই খোঁজে। এদিকে সিবিআই দফতরে রাজীব কুমারের চিঠি জমা পড়তে জানা গেছে সমস্ত ঘটনাই কপি করে দিল্লি সদর দফতরে জমা পড়ে গেছে রিপাের্ট। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা সিবিআই কী পদক্ষেপ নেয়।