ই-ওয়েস্ট বিন বসাবে রেল

পশ্চিমী দুনিয়ার মতই ভারতেও এখন ই-আবর্জনা মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এটা সাধারণ আবর্জনা নয়। আমরা প্রতিমুহূর্তে মোবাইল, ল্যাপটপের মত যে সব ইলেকট্রনিক গ্যাজেটস ব্যবহার করি তা কয়েক বছর বাদেই পুরনো হয়ে যায়। নতুন প্রযুক্তির নতুন গ্যাজেট কেনাটা তখন অবধারিত হয়ে পড়ে। এইসব পুরনো ফেলে দেওয়া গ্যাজেটস তখন হয়ে যায় ই আবর্জনা। ভারতীয় রেলও এই সমস্যায় ভুগছে।

মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের ডিআরএম ললিত মোহন পান্ডে বলেন, ই আবর্জনা খুঁজে বার করে তা সাফাই করার জন্য স্পেশাল ড্রাইভ রেলের পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে। এই ধরনের সাফাইয়ের কাজ সবার দ্বারা সম্ভব নয়। বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত সংস্থাই এই সাফাইয়ের কাজ করতে পারে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এই ধরনের কয়েকটি এজেন্সিকে ই আবর্জনা সাফাই করার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। এই ধরনের একটি সংস্থাকে বাছাই করে তার মাধ্যমেই ই আবর্জনা সাফাই করবে রেল। শুধু অফিস পরিসরে জমে থাকা ই-আবর্জনা নয়, রেল সেটেলমেন্টে বিভিন্ন এলাকা থেকেও ই আবর্জনা সংগ্রহ করা হবে। ই-আবর্জনা সংগ্রহের জন্য ই-ওয়েস্ট বিন বসানো হবে। ডিআরএম বলেন, এর জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যেও সচেতনতা তৈরি করা দরকার।

এডিআরএম মনীষা গোয়েল বলেন, স্টেশনের উত্তর প্রান্তে স্টেশন পরিসরে থাকা জবরদখলকারীদের হঠানোর কাজ শুরু হবে।
সিনিয়র ডিসিএম নিশান্ত কুমার বলেন, সাঁতরাগাছি থেকে খড়গপুর পর্যন্ত চতুর্থ রেললাইন পাতার জন্য ডিপিআর রেল বোর্ডে পাঠানো হয়েছে । এই প্রকল্প ছাড়পত্র পেলেই রেললাইন পাতার কাজ শুরু হবে। চতুর্থ রেললাইন চালু হলে হাওড়া- খড়গপুর বিভাগে লোকাল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চালানো সম্ভব হবে। তিনি আরো জানান, খরিদায় আন্ডারপাস নির্মাণের ড্রয়িং নো অবজেকশন শংসাপত্র পাওয়ার জন্য রাজ্য প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেই অনুমতি পেলেই কাজ শুরু হবে। আশা করা যাচ্ছে মাস খানেকের মধ্যে আন্ডারপাস তৈরির কাজ শুরু হবে।