দুধের শিশু থেকে নুয়ে পড়া বৃদ্ধা পাহাড়ে ‘মমতা’র ছোঁয়ায় জনসংযোগ

একুশের ভোটের পরে এই প্রথম দার্জিলিং সফরে এসেছেন মমতা। রবিবার শিলিগুড়িতে সভা করে সেদিন রাতেই ফিরেছেন দার্জিলিংয়ে।

সোমবার সকাল হতে না হতেই বেরিয়ে পাহাড় পরিভ্রমণে। প্রায় পনেরো কিলোমিটার রাস্তা তিন ঘন্টারও বেশি সময় পায়ে হেঁটে ঘুরলেন মমতা।

স্থানীয় বাসিন্দা পাহাড়ের ব্যবসায়ী, পর্যটক সকলের সঙ্গে আন্তরিক ব্যবহার করে জনসংযোগ সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড়ের পথে দেখা মিলল এক অন্য ‘মমতা’র।


সোমবার মুখ্যমন্ত্রী পায়ে হাঁটার পথেই একটি ছোট্ট ফুটফুটে তিন মাসের শিশুকন্যা অবণীকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল তার মা।

মায়ের কাছ থেকে শিশুটিকে কোলে তুলে নিয়ে কপালে স্নেহ চুম্বন এঁকে দেন মমতা।জিজ্ঞেস করে, কত বয়স শিশুটির?

জিজ্ঞেস করেন তার নাম। আদরমাখা গলায় ডাকেনও তর নাম ধরে। তারপর আন্তরিক সুরে বলেন, ওকে কাজল পরাননি কেন?

শিশুটির গলায় একটা মাফলার দিয়ে রাখতেও পরামর্শ দেন মমতা। শেষে শিশুটির মায়ের হাতে দেন কিছু উপহার।

এদিন রাস্তায় যত ছোট ছোট শিশুর সঙ্গে দেখা হয়েছে সবাইকেই চকোলেট বিতরণ করেছেন মমতা।

আবার পাহাড়ের চড়াই ভেঙে উঠবার পথে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয় বয়সের ভারে নুয়ে পড়া এক বৃদ্ধার। তাঁকে দেখে চলা থামিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী।

সঙ্গে থাকা আধিকারিকদের বলেন, ওঁর জন্য একটা বেল্টের ব্যবস্থা করে বাড়ি গিয়ে দিয়ে আসবে। বেল্ট পরে হাঁটলে ওঁর কষ্ট কম হবে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo-SNS)

এভাবেই এদিন দুধের শিশু থেকে নুয়ে পড়া বৃদ্ধা সকলেই পেলেন ‘মমতা’র ছোঁয়া। এদিন পাহাড়ে হেঁটে বেড়ানোর সময়ে স্থানীয় দোকানগুলিও ঘুরে দেখেন মমতা।

আধিকারিকদের বলেন, তিরিশ পারসেন্ট ছাড় দিচ্ছে। একেবারে চৈত্রসেলের মতো। কার কী কেনার আছে কিন নিন।

এদিন নিজে কিছু কেনাকাটিও করেন মমতা। পাহাড়ের ব্যবসায়ীদের কাছে বিকিকিনির হালহকিকৎ খোঁজা নেন।

কথা বলেন পর্যটকদের সঙ্গেও। ম্যাল থেকে রাজভবন সর্বত্র সকালের পাহাড়ি রোদ মেখে ঘুরে বেড়ান মুখ্যমন্ত্রী।

শেষে দার্জিলিং রাজভবনের সামনে এসে মহিলা ব্রিগেড বা উইনার্স টিমের মহড়া দেখেন। রাজ্যে আরও একটি এরকম উইনার্স টিম গড়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী।