সাধারন মানুষের চাপে সরকার ভেঙে যাবে : দিলীপ

রাজ্যে পরিবর্তনই বিজেপির লক্ষ্যভেদের পাখির চোখ, বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে অভাবনীয় জয়ের পর এই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ।

Written by Abhishek Roy Kharagpur | May 24, 2019 5:01 pm

দিলীপ ঘােষ (Photo: IANS)

রাজ্যে পরিবর্তনই বিজেপির লক্ষ্যভেদের পাখির চোখ, বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে অভাবনীয় জয়ের পর এই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

জয় নিশ্চিত হওয়ার পরে দিলীপ বলেন, সাধারণ মানুষের চাপেই সরকার ভেঙে যাবে। রাজ্যজুড়ে বিজেপির জয়ের জন্য শুধু বিজেপি কর্মী সমর্থকরাই ভােট দিয়েছেন এমনটা নয়, তৃণমূলকে হারানাের জন্য অন্য দলের নেতা ও সমর্থকরাও বিজেপিকে ভােট দিয়েছেন। তৃণমূলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাঁরা বিজেপিকে হাতিয়ার করতে আমাদের দিকে এসেছেন।

দিলীপ মনে করেন, তৃণমূল নেত্রীর গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ ও চিন্তাভাবনা, স্বৈরাচারী মানসিকতার জন্যই ৪২টি লােকসভা আসনের মধ্যে ৪২। পঞ্চায়েতকে বিরােধীশূন্য করার ডাক দিয়েছিলেন, মানুষ তার যােগ্য জবাব দিয়েছে।

দিলীপ বলেন, তৃণমূল নেত্রীর অত্যধিক অহঙ্কার ও স্বেচ্ছাচারিতার জন্যই আজ দুর্দশা, তৃণমূলের দুরবস্থা। মানুষ বাধ্য হয়েছে রাস্তায় নেমে লাল চক্ষুকে উপেক্ষা করে, বােমা-বন্দুককে পাত্তা না দিয়ে ভােট দিয়ে পরিবর্তন আনতে।

দিলীপ বলেন, বাংলায় মানুষের স্বার্থবিরােধী কাজ করেছে রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রী বৈঠক ডাকলে, মুখ্যমন্ত্রী নিজে যাননি, তাঁর মুখ্যসচিবকেও যেতে দেননি।

বিজেপি যে বসে থাকবে না, সেকথাও পরিষ্কার করে দিয়ে দিলীপ বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের এমএলএ, এমপি, মেয়র, চেয়ারম্যান অনেকেই লাইন লাগিয়ে রেখেছেন। আমরা বড় পরিবার, সুখী পরিবারের তত্ত্বে বিশ্বাসী। যে সমস্ত এলাকায় তৃণমূল পরাজিত হয়েছে, সেই সব এলাকার বিধায়ককে বলব, ঘর ছেড়ে দাও। বিজেপির দরজা খােলা আছে।

মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, ওনার এখন শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা। পাটি বাঁচাবেন না সরকার বাঁচাবন, সেটা ঠিক করতেই উনি মুশকিলে পড়েছেন।

জয় নিশ্চিত হওয়ার পর গেরুয়া আবির মেখে মানুষের কাঁধে চেপে বেরিয়ে আসেন দিলীপ ঘোষ। তারপরে তিনি ট্রাকে করে চারশ মিটার দূরে তাঁর বাংলােতে পৌছন।

এদিন গণনা শুরু হওয়ার আগে একবার গণনা কেন্দ্রের বাইরে থেকে ঘুরে যান দিলীপবাবু। কাউন্টিং এজেন্টরা ঢুকে যাওয়ার পর ফিরে যান নিজের বাংলােয়। পরে বেলা গড়ালে আরেকবার গণনাকেন্দ্রে আসেন। কিছুক্ষণ বাদে আবার বেরিয়ে যান। জয় নিশ্চিত হওয়ার পর বিকেলে আবার গণনাকেন্দ্রে আসেন।

প্রথম থেকেই তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মানস ভুইয়ার থেকে এগিয়েছিলেন। মাঝে একবার মানসবাবু এগিয়ে যান। কিন্তু বেশিক্ষণ সেই লিড তিনি ধরে রাখতে পারেননি।

১৯৫২ সালের লােকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন ভারতীয় জনসংঘের টিকিটে দুর্গাচরণ ব্যানার্জি। ৬৭ বছর বাদে ফের সেদিনর জনসংঘ আজকের ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হলেন।