টালা ব্রিজের কাছে বিকল্প ফুট ব্রিজের দাবি মানুষের

প্রতিকি ছবি (File Photo: iStock)

সপ্তাহের সূচনাতেই টালা ব্রিজ বন্ধ থাকায় যানজটের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু পরিকল্পনামাফিক সব বিষয় সুষ্ঠ ভাবে সামল দিয়ে পরীক্ষায় ফুল মার্কস পেল কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। এলাকায় সকাল থেকেই উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। হাজির ছিলেন খােদ স্পেশ্যাল সিপি জাভেদ শামিম, অতিরিক্ত কমিশনার (৩) দেবেন্দ্র প্রকাশ সিং ছাড়া যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) সন্তোষ পাণ্ডে, ডিসি (ট্রাফিক) রূপেশ কুমার।

যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মােতায়েন করা হয়েছে টালা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা ও বিকল্প পথগুলিতে। শনিবার থেকেই বিকল্প রুটে যান চলাচলের ব্যবস্থা শুরু হয়ে গেলেও মূল পরীক্ষা ছিল মূলত সপ্তাহে সুচনাতে কাজের দিন সােমবার। তেমন কোনও অসুবিধা না হলেও দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে গন্তব্যে পৌঁছতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ।

উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতার সঙ্গে অন্যতম সংযােগ রক্ষাকারী পথ ছিল এই টালা সেতু। নিয়মিত শহর অভিমুখি কাজের প্রয়ােজন থেকে শুরু করে অফিস আদালত, স্কুল কলেজ এমনকী বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালেও আসতে গেলে এই টালা সেতু হয়ে উঠেছিল আম আদমির অপরিহার্য্য পথ। সেই সেতু ভেঙে ফেলা শুরু হলেই যে সাময়িক সমস্যায় পড়তে হবে তা অবশ্য আগে থাকতেই জানা ছিল। তবে মানুষের সহযােগিতায় সােশ্যাল সাইট থেকে একেবারে আকুস্থল সহ বিভিন্ন ডাইভারটেড রুটগুলির সামনেই পথ নির্দেশিকা বিভিন্ন ভাষায় পােস্টার দিয়ে সুচিত করে কলকাতা পুলিশ।


অধিক সংখ্যক পুলিশ মােতায়েন করে রাখা হয়েছিল বিভিন্ন ট্রাফিক গার্ডগুলিতে। যে পথ অনায়াসে ১৫ মিনিটে অতিক্রম করা যেত এই বিকল্প পথ ধরে যেতে গিয়ে তা ঘণ্টা খানেক লেগে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা।

পুজোর পর থেকেই ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বছরের শুরুতেই এবার বন্ধ হয়ে গেল টালা ব্রিজের অন্যান্য যান চলাচল। শুরু হয়েছে টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ। তবে সাধারণ মানুষের দাবি এটাই অন্তত একটি ফুট ব্রিজ তৈরি করে দেওয়া হােক। যার মাধ্যমে হেঁটে অপর প্রান্তে পৌঁছে নিজেদের গন্তব্যে পৌছানাের গাড়ি ধরতে পারেন নিত্যযাত্রীরা। তাতে সময় সাশ্রয় হবে বলেও উল্লেখ করেন এদিন অনেক মানুষ।

মূলত সিঁথির মােড়, চিড়িয়া মােড় সহ বেশ কিছু জায়গায় সামান্য হাল্কা যানজট হলেও আপাতভাবে সুষ্ঠভাবেই পরীক্ষার প্রথম দিন নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিতে পেরেছে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।