রাজ্যে তৃণমূলের সাফল্যের অন্যতম কারিগর প্রশান্ত কিশাের 

প্রশান্ত কিশাের (File Photo: IANS)

তাঁর স্ট্র্যাটেজিতে লড়াই করেই বাজিমাত করল তৃণমূল কংগ্রেস। বাজিমাত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনই সকলকে অবাক করে দিয়ে প্রশান্ত ঘােষণা করেন, তিনি আর রাজনৈতিক কৌশলীর পদে থাকবেন না।

উনিশের হতাশাজনক ফলের পর প্রশান্ত কিশােরকে দলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়ােগ করে তৃণমূল। দুর্নীতির অভিযােগে দুষ্ট স্থানীয় নেতাদের প্রতি বহু ক্ষোভ জমে ছিল সাধারণ মানুষের মনে।

দায়িত্ব নিয়েই পিকে দলের শুদ্ধিকরণের কাজ করেন। ‘দিদিকে বলাে’, ‘দুয়ারে সরকার’, ‘পাড়ায় সমাধান’এর মতাে কর্মসূচি রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একেবারে সাধারণ মানুষের দোরগােড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। দুর্নীতির অভিযােগে বা প্রতিষ্ঠান বিরােধিতার তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে জনমত গঠিত হচিছল, সেটাকেও আটকে দেন পিকে।


বহিরাগত ইস্যু তুলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রভাব একপ্রকার বন্ধ করে দেন। সেই সঙ্গে ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগান তুলে বাঙালি অস্মিতাকেও জাগিয়ে তুললেন পিকে। প্রশান্তের সব পরিকল্পনা যে সফল হয়েছে, দিনের শেষে ফলাফলে সেটাই প্রমাণিত হল। 

নরেন্দ্র মােদি, অমিত শাহ’রা যখন বুকবাজিয়ে ২০০ আসন জয়ের দাবি জানাচ্ছিলেন, তখনও পিকে দৃঢ় কণ্ঠে ঘােষণা করেন, বিজেপি বাংলায় দুই অঙ্ক পেরবে না। ভাল ব্যাবধানে জিতবেন মমতা। ঘােষণা করে দিয়েছিলেন, বিজেপি ১০০ পেরােলে রাজনৈতিক পরামর্শদাতার কাজ তিনি ছেড়ে দেবেন। 

ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছে পিকের ভবিষ্যত্বাণী। তৃণমূল জিতেছে বহু ব্যবধানে। বিজেপি আটকে গিয়েছে একশাের নিচে। মােদি-শাহদের বিপুল প্রচার কাজে আসেনি। তৃণমূল স্তরে কাজ করার সুফল পেয়েছেন মমতা।