স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে অভিযুক্ত বিডিও-র আগাম জামিনের বিরোধিতায় হাইকোর্টে পুলিশ

দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও খুনের মামলায় রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের আগাম জামিনের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ পুলিশ। বারাসত আদালত ওই বিডিও-র আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। এদিন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যায় বিধাননগর থানার পুলিশ কমিশনারেট। পুলিশের দাবি, আদালতে তিনি মিথ্যা কথা বলেছেন। জাল নথি দেখিয়ে আগাম জামিন পেয়েছেন তিনি। এর বিরুদ্ধে সরব হয়ে উচ্চ আদালতে গিয়েছে পুলিশ। ফলে চাপের মুখে পড়েছেন রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন।

স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় তাঁর পরিবারের তরফে বিডিও প্রশান্ত বর্মনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিডিও সেইসব অভিযোগ অস্বীকার করে বারাসত আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান। সেই আবেদন মঞ্জুর করে বারাসত আদালত। পরে বিধাননগর আদালতে হাজিরা দিয়ে তা কার্যকর করেন তিনি। এরপরে এই আগাম জামিনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যায় বিধাননগর থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, আদালতে ভুয়ো নথি দেখিয়ে বিডিও জামিনের আবেদন করেছেন। বারাসত আদালতে বিডিও আইনজীবী জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীর খুন হওয়ার দিন নিউ টাউনে ছিলেন না প্রশান্ত বর্মন। তিনি একটি গেস্ট হাউসে ছিলেন। আদালতে গেস্ট হাউসের একটি ভুয়ো রশিদ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ জানিয়েছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, দত্তাবাদের স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যাকে খুনের অভিযোগ উঠে রাজগঞ্জের বিডিও-র বিরুদ্ধে। পরিবারের তরফে অভিযোগ ওঠে, গত ২৮ অক্টোবর দত্তাবাদের সোনার দোকান থেকে স্বপন কামিল্যাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর পরিকল্পনামাফিক তাঁকে খুন করা হয়। স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনার অভিযোগ ওঠে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের দিকে। বিডিও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরে পুলিশ তাঁর ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি ও তাঁর গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করে। এরপরে ঘটনার তদন্তভার নেয় বিধাননগর পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ আবার ওই বিডিও ঘনিষ্ঠ কোচবিহারের বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা সজল সরকার ও দুই গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করে।