বসিরহাটে চালু কন্ট্রোল রুম, ৫৫০টি সিসিটিভিতে নজরদারি

অপরাধমূলক কাজ এড়াতে ও এলাকার নিরাপত্তার জন্য পুজোর আগে বসিরহাট পুলিশ জেলার ১১টি থানা এলাকায় মোট ৫৫০টি সিসিটিভি বসানো হয়েছে। সেগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য বসিরহাট থানার দোতলায় উদ্বোধন করা হয়েছে ইন্টিগ্রেটেড ডিস্ট্রিক্ট কন্ট্রোল রুম। সেই রুমে বড় বড় স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। সেই স্ক্রিনের মাধ্যমে সুন্দরবনের গুরুত্বপূর্ণ বাজার, মোড়, রাস্তাগুলিকে সিসিটিভির সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করবে পুলিশ। পুজোর আগে পুলিশের এই তৎপরতায় খুশি বসিরহাটের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষজন। এর ফলে সুন্দরবন এলাকার নিরাপত্তা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

পুজোর আগে বসিরহাট পুলিশ জেলার সীমান্তবর্তী স্বরূপনগর, সন্দেশখালি, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, হাসনাবাদ, বসিরহাট, হিঙ্গলগঞ্জের মতো সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার জল ও স্থলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় লাগানো হয়েছে সিসিটিভি। এই সব ক্যামেরাকে কন্ট্রোল করতে ইন্টিগ্রেটেড রুম খোলা হয়েছে। এই রুমে থাকা স্ক্রিনগুলিতে বিভিন্ন এলাকার লাইভ ফিড পাওয়া যাবে। রুমে বসেই ১১টি থানার প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষের উপর নজরদারি চালানো যাবে। এদিন এই রুমের উদ্বোধন করেন বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি ভাস্কর মুখোপাধ্যায়।

তাঁর সঙ্গে ছিলেন বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডাঃ হোসেন মেহেদী রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) দুর্বার বন্দোপাধ্যায়-সহ একাধিক এসডিপিও ও বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকরা। বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডাঃ হোসেন মেহেদী রহমান জানিয়েছেন, এলাকায় যে কোনও ধরনের অপরাধ রুখতে ১১টি থানা এলাকায় মোট ৫৫০টি সিসিটিভি বসানো হয়েছে। এই সিসিটিভিগুলি মনিটরিংয়ের জন্য খোলা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম।


উল্লেখ্য, পুজোর সময় দুষ্কৃতীদের অপরাধমূলক কাজকর্ম বেড়ে যায়। সেই কারণে চাপ কমাতে কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থা করেছে বসিরহাট পুলিশ। সুন্দরবন এলাকাকে ৫৫০টি সিসিটিভির আওতায় আনার ঘটনাটি পুলিশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কারণ ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা খুবই স্পর্শকারত। সেখানে সব সময়ই দুষ্কৃতীদের দাপট থাকে। এর ফলে সমাজবিরোধী ও অসামাজিক কাজ ও দুষ্কৃতীদের কার্যকলাপের উপর নজরদারি চালাতে পারবে পুলিশ। পাশাপাশি সম্প্রীতি বজায় রাখতেও এই সিসিটিভিগুলির ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই পরিস্থিতিতে অপরাধ দমনে পুলিশের এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়।