শ্রীরামপুর সংশোধনাগার থেকে নিখোঁজ পকসো মামলার বিচারাধীন বন্দি

শ্রীরামপুর সংশোধনাগার থেকে নিখোঁজ বন্দি। অসংখ্য সিসিটিভ ক্যামেরা  এবং সেই সঙ্গে কারারক্ষীদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে শ্রীরামপুরের উপ-সংশোধনাগার থেকে পলাতক পকসো মামলার বিচারাধীন এই বন্দি। রবিবার সকালে সেল-চেকিং-এর সময় বিষয়টি কারারক্ষীদের নজরে আসে। প্রশাসনের তরফে জেল সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। 

চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি শ্রীরামপুর, অর্ণব বিশ্বাস বলেন, ‘সংশোধানাগার কর্তৃপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। রিষড়া থানায় দায়ের হওয়া একটি পকসো মামলার ট্রায়াল চলছিল শ্রীরামপুর আদালতে। ওই মামলার অভিযুক্ত বন্দি ছিল শ্রীরামপুর উপ-সংশোধনাগারে। প্রয়োজনে লুক আউট নোটিস জারি করা হবে।’   
 
পকসো মামলার বিচারাধীন এই বন্দি শনিবার রাতেও সেলে গণনার সময় উপস্থিত ছিল বলে কারারক্ষীদের দৈনিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে। কিন্তু সকালে চেকিং হতেই দেখা যায় তার সেল ফাঁকা পড়ে রয়েছে। বহু খোঁজাধুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তড়িঘড়ি জানানো হয় শ্রীরামপুর উপ-সংশোধানাগারের কারাধ্যক্ষকে। তিনিই বিষয়টি শ্রীরামপুর কমিশনারেট ও জেলা প্রশাসনকে জানান।  
 
শ্রীরামপুরের মহকুমা শাসক শম্ভুদীপ সরকার বলেন, ‘এই উপ-সংশোধনাগারে যিনি কারাধ্যক্ষ আছেন, তাঁর কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। তাঁর খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই পলাতক বন্দির বিরুদ্ধে রিষড়া ও মগরা থানাতেও আগে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই শ্রীরামপুর সংশোধনাগারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে একজন বিচারাধীব বন্দি কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও পালিয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল।