গোর্খাল্যান্ডে প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে টেকসই ‘ব্লু রোড’

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) আওতাধীন এলাকায় তৈরি হচ্ছে ‘ব্লু রোড’। কার্শিয়াংয়ের প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই সড়ক। এজন্য ১৮৫০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এভাবে মিরিকের মুক্তিখোলা জলপ্রপাত থেকে নলদারা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। রাজ্যের অন্য জায়গায় আগেই এই প্রকল্পে রাস্তা তৈরি হলেও গোর্খাল্যান্ডে এটাই প্রথম।

প্রসঙ্গত, অপচনশীল বর্জ্য কীভাবে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে, তা নিয়ে গোটা বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চলছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ‘ব্লু রোড’ তৈরি। বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের পাশাপাশি ভারতেও এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে প্রথম থেকেই। ২০১৯-এ সলিড ও প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থাপনার নির্দেশ দিয়েছিল ভারতের ন্যাশানাল গ্রিন ট্র্যাইব্যুনাল। এ বিষয়ে ভারতের রোড কংগ্রেস সমীক্ষা করেছে। তা থেকে জানা গিয়েছে, প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে তৈরি করা রাস্তা অনেক বেশি টেকসই মজবুত হবে। ফলে অন্য রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও এই প্রকল্পে কাজ শুরু হয়েছে।

কলকাতার নিউটাউনে প্রথম প্লাস্টিক বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করে তৈরি হয়েছে এই রাস্তা। এই পদ্ধতিতে রাস্তা তৈরি করা শুরু করেছে রাজ্যের অন্যান্য গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলি। এবার উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকাতেও এই পদ্ধতি মেনে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হল। জিটিএ-র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শক্তিপ্রসাদ শর্মা জানিয়েছেন, মিরিকে কাজ শেষ হলে পাহাড়ের অন্য এলাকাতেও ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট রুরাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির মাধ্যমে ‘ব্লু রোড’ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।


একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে কার্শিয়াং ব্লক প্রশাসন। এখানে প্রায় সাড়ে চার কিমি রাস্তা তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যে প্রায় দেড় কিমি রাস্তা তৈরি হয়ে গিয়েছে। কার্শিয়াংয়ের বিডিও কৌশিক চক্রবর্তী বাকি কাজ দ্রুত শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই কাজে রাস্তার মান ভালো করার পাশাপাশি, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরও কাজের বন্দোবস্ত হয়েছে। পাশাপাশি রাস্তা তৈরিতে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার হওয়ায় এই অঞ্চলে দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া গাড়িধুরার ইউনিট থেকে প্লাস্টিক প্যালেট বিক্রি করে আয়ের পথও সুগম হয়েছে বলে জানিয়েছে কৌশিকবাবু।