পুজোর আগেই পেঁয়াজের দাম ক্রমশ চড়ছে। আর এই মূল্যবৃদ্ধিতে কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিলেও কোনও কাজই হচ্ছে না। এক শ্রেণির ফড়েদের দাপটের জেরে পেঁয়াজের দাম আগামী কয়েকদিনে তিন অঙ্কে পৌঁছে যেতে পারে বলে পাইকারি ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন। পরিস্থিতি যা হয়েছে, তাতে করে পুজোর আগে এই দাম কমার কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না ব্যবসায়ীরা। দিল্লি মুম্বইয়ের মতাে পেঁয়াজের দাম কলকাতাসহ গােটা রাজ্যে বাড়ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে তিন অঙ্কে পেঁয়াজের দাম পৌঁছাতে বেশিদিন সময় লাগবে না।
পেঁয়াজের দাম বাড়ছে কেন? সরকারি কর্তাদের যুক্তি, মুম্বইয়ের নাসিকে এবারে পেঁয়াজের ফলন কম হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে ভিন রাজ্যগুলিতে পেঁয়াজের আমদানি কম। এদিকে কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা করে বিকোচ্ছে। পেঁয়াজের অগ্নিমুল্যে মধ্যবিত্ত মানুষের মাথায় হাত পড়েছে। এমতাবস্থায় সরকারের তরফে খােলা বাজারে ব্যবসায়ীদের বলে দেওয়া হয়েছে, কেজিপ্রতি ৬০ টাকার বেশি পেঁয়াজ বিক্রি করা যাবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, দীর্ঘ ছমাস ধরে রাজ্যে টাস্কফোর্সের বৈঠক হচ্ছে না। এই বৈঠক না হওয়ায় একশ্রেণির ব্যবসায়ী এবং ফড়েরা পেঁয়াজ মজুত করছে। আর সেকারণে পেঁয়াজের দাম ক্রমশ আকাশছোঁয়া হয়েছে। সরকারি কর্তারা মনে করছেন, একশ্রেণির মজুতদার এবং কালােবাজারিদের জন্য রাজ্যে পেঁয়াজের মূল্য ক্রমশ ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে। তবে এর দাম যাতে আর না বৃদ্ধি পায়, সেজন্য প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের মজুতভাণ্ডারে বর্তমানে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। সংকট মােকাবিলায় পনের হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাজারে ছাড়া হয়েছে। টাস্কফোর্সের অন্যতম কর্তা, রবীন্দ্রনাথ কোলে অবশ্য দাম কমার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী। তাঁর কথায়, বছরের প্রথম সাত মাস ভিন রাজ্যের ওপর নির্ভর করতে হয় রাজ্যকে। মহারাষ্ট্রের নাসিক, রাঁচিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজ্যে পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে। কিন্তু সেখানে বন্যা হওয়ায় সেই পেঁয়াজ নিয়ে আসা যাচ্ছে না। তিনি জানান, পাইকারি পেঁয়াজের কেজিপ্রতি মূল্য ৫০ টাকা। কিন্তু খেলা বাজারে এর দাম আরও বেশি। টাস্কফোর্সের তরফে বলে দেওয়া হয়েছে, ৬০ টাকার বেশি যেন কেউ পেঁয়াজের দাম না নেন।