গত মাসে কোচিং সেন্টারে যাওয়ার সময় ১৬ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল শহর কলকাতায়। অবশেষে সেই ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। বিহারের বৈশালী জেলা থেকে অপহৃত নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ২৬ জুলাই বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ওই নাবালিকা তাঁদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোচিংয়ের দিকে যাচ্ছিল। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। এই ঘটনার দু’দিন পর নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে ট্যাংরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ট্যাংরা থানার পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-এর ধারা ১৩৭ (২)-এর অধীনে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
তদন্ত চলাকালীন পুলিশ জানতে পারে যে অভিযুক্ত যুবক নীতীশ কুমারের বাড়ি বিহারের বৈশালী জেলায়। এরপরই ট্যাংরা থানার একটি বিশেষ দল বিহারে রওনা দেয়। প্রথমে অভিযুক্তের পরিচিত বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হলেও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে অভিযুক্তের অবস্থান চিহ্নিত করে পুলিশ।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ১২ আগস্ট বিহারের বৈশালী জেলার চন্দ্র ছাপরা, চেহরা কালান এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে কাঠারা থানা এলাকার একটি বাড়ি থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয় এবং অভিযুক্ত নীতীশ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উদ্ধারের পর নাবালিকার গোপন জবানবন্দি এবং মেডিকেল পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নাবালিকার বয়ানের ভিত্তিতে এই মামলায় পকসো আইনের ধারা ৪ এবং বিএসএস-এর ধারা ৬৪ যুক্ত করা হয়েছে। আদালতে পুলিশ অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। পুলিশের দাবি, পুরো ঘটনাটি শিশু কল্যাণ কমিটিকেও জানানো হয়েছে।