২০ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির প্রতিষ্ঠা দিবস। বিবিধ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে এই দিনটি পালন করবে ওয়েলফেয়ার কমিটি। একইসঙ্গে পুলিশ মানুষের বন্ধু এবং সর্বদাই মানুষের সেবা ও রক্ষায় নিয়োজিত এই বার্তাই এদিন সাধারণ মানুষকে দেওয়া হবে পুলিশ কমিটির তরফ থেকে। ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ কর্মী সহযোগী, পুলিশ কর্মী এবং অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা দেখার জন্য গড়ে দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে পুলিশ কমিটির বয়স এখন ৫। যে সময় পুলিশ কমিটি তৈরি হয়েছিল, সেই সময় কমিটির সদস্য সংখ্যা বা শাখা সংগঠন যত সংখ্যক ছিল দিনে দিনে তা বেড়ে চলেছে। এই পুলিশ ওয়েলফেয়ার যখন তৈরি হয়েছিল তখন কমিটির অন্তর্গত ৫৪টি জেলা ইউনিট কমিটি ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে ইউনিট কমিটির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮। আরজিকর কাণ্ডের আবহে যখন পুলিশকে নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন, ঠিক তখন পশ্চিমবঙ্গ ওয়েলফেয়ার কমিটি, মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছাতে চাইছে, যে পরিস্থিতিই তৈরি হোক না কেন, পুলিশ সর্বদাই মানুষের রক্ষায় এবং সেবায় নিয়োজিত থাকবে। আর ‘জন্মদিন’ উপলক্ষে এই বার্তাই সমস্ত সদস্যদের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ ওয়েলফেয়ার কমিটি। ওইদিন কমিটি পতাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করবে বলে কমিটির কর্তারা জানিয়েছেন।
যেমন ব্যারাকপুরের লাটবাগানে সাফাই অভিযান কর্মসূচি পালন করা হবে। বাঁকুড়া পুলিশ লাইনে বস্ত্র বিতরণ করা হবে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এদিন পুলিশকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে মিষ্টি মুখ করাবে কমিটি। বর্তমানের কমিটির সদস্য সংখ্যা প্রায় ছয় লক্ষ। পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি মূলত পুলিশকর্মী, সহযোগী পুলিশকর্মী, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীদের বিভিন্ন ‘সুখ-সুবিধা’ আদায়ের উদ্দেশ্যে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি প্রশাসনের কাছে পুলিশ কর্মীদের জন্য যে দাবি দাওয়া রেখেছে, তার অনেক গুলোই প্রশাসন পূরণ করেছেন। আর কিছু দাবি এখনো পূরণ হওয়ার পথে। কমিটির কর্তারা জানালেন, এই কমিটি পুলিশ কর্মী এবং সহযোগী পুলিশ কর্মীদের ‘সুখ-সুবিধা’ দেখার জন্য তৈরি হলেও, তারা সাধারণ মানুষের ‘সুখ-সুবিধা’র কথাও ভাবেন।
এই বিষয়ে, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি কনভেনার বিজিতাস্য রাউত জানিয়েছেন, “২৬ অগস্ট পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির প্রতিষ্ঠা দিবস। পতাকা উত্তোলন সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই বিশেষ দিনটিকে পালন করা হবে। ” একই সঙ্গে বিজিতাস্য বাবু এই বিশেষ দিনটিকে মাথায় রেখে পুলিশ কমিটির তরফ থেকে কমিটির সদস্য এবং সাধারণ মানুষকে বার্তা দিতে চাইলেন। তিনি জানালেন, ” আমাদের মাথায় অশোক স্তম্ভ। আমরা জাতীয় পতাকার নিচে দাঁড়িয়ে শপথ নিয়েছি। তাই আমাদের লক্ষ্য কিন্তু সাধারণ মানুষের সুরক্ষা। কারণ আমরা পুলিশ কর্মী বা সহযোগী পুলিশকর্মীরা যা কমবেশি সুযোগ-সুবিধা পায় তা সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকা থেকে। আর এই বার্তাই আমি পুলিশ কর্মী এবং সহযোগী পুলিশ কর্মীদের দিতে চাই। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকেও আমি এই বার্তাই পৌঁছাতে চাই, যে পরিস্থিতি হোক না কেন পুলিশকর্মীরা সর্বদাই মানুষের সুরক্ষায় ও সেবায় নিয়োজিত থাকবে।”