মিঠুনের মােকাবিলায় প্রচারে জয়া ‘বাঙালিকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই’

তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নামলেন জয়া বচ্চন। (Photo:Kuntal Chakrabarty/IANS)

এবার ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তীর পালটা হিসাবে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নামলেন বাংলার ঘরের মেয়ে তথা সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ জয়া বচ্চন। সােমবার টালিগঞ্জ বিধানসভা এলাকার প্রার্থী অরূপ বিশ্বাসের সমর্থনে অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রী জয়াকে রােড শাে করতে দেখা গেল।

তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে শহরে প্রচার করতে এসে অভিনেত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চনের সাফ বক্তব্য, এখানে অভিনয় করতে আসিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইকে সম্মান করি। প্রচারের আগে তিনি তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে জানান, একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়ছেন মমতা। তিনি ফের ক্ষমতায় এলে বাংলার আরও উন্নতি হবে।

পাশাপাশি জয়া বিরােধীদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ কন্মে, মমতাকে যারা পছন্দ করেন না, তাঁদের লব লজ্জা লজ্জা। বাংলাতে তাকে প্রচারের জন্য পাঠানাে হয়েছে তাই সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদবকে ধন্যবাদ জানান জয়া বচ্চন। বাঙালি কে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, বললেন অভিনেত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে রবিবারই শহরে এসেছেন তিনি।


প্রচারের আগে তৃণমূল ভবনে সােমবার সাংবাদিক বৈঠক করে জয়া বলেন, একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়ছেন মমতা। তিনি ফের ক্ষমতায় এলে বাংলার আরও উন্নতি হবে। পাশাপাশি বিরােধীদের উদ্দেশে জয়ার কটাক্ষ, ‘মমতাকে যারা পছন্দ করেন না, তাঁদের বলব লজ্জা লজ্জা।’

খবর, ৫ এপ্রিল থেকে চারদিন রাজ্যে তৃণমূলের হয়ে প্রচার চালাবেন তিনি। রাজ্যের তৃণমূলের হয়ে চারটি বড় রােড শাে করবেন জয়া বচ্চন। টালিগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী অরূপ বিশ্বাসের সমর্থনে রােড শাে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ জয়া বচ্চন। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন শুরু থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। এরপরেই প্রচারে আসলেন তিনি।

উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অমিতাভ বচ্চনের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। প্রত্যেক বছর চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন অমিতাভ। তাঁর স্ত্রী জয়া বচ্চন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ। ভােট পর্ব শুরু হওয়ার আগে থেকেই সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব জানিয়েছিলেন, তিনি মমতার পাশে আছে। তার উপর তাঁর পার্টির সাংসদকে বিধানসভা ভােট চলাকালীন তিনি রাজ্যে পাঠালেন তৃণমূলের হয়ে প্রচার চালানাের জন্য। আর এটাই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।