রাজ্যের নৌঘাঁটিতে ‘নাে ফ্লাই জোন’

প্রতীকী ছবি (Photo: iStock)

এবার পশ্চিমবঙ্গে নৌবাহিনীর ঘাঁটিগুলির ৩ কিলােমিটার পর্যন্ত ‘নাে ফ্লাই জোন’ ঘােষণা করল ভারতীয় বায়ুসেনা। অর্থাৎ এই রাজ্যে নৌবাহিনীর ঘাঁটিগুলির কাছে আর কোনও ড্রোন বা চালকবিহীন যান ওড়ানাে যাবে না। এই নির্দেশ অমান্য করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শুক্রবার নৌসেনার তরফে এক বিবৃতি জারি করে জানানাে হয়েছে, রাজ্যে নৌবাহিনীর ঘাঁটি, দফতর বা অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানের ৩ কিলােমিটারের মধ্যে কোনও ব্যক্তি বা বেসরকারি সংস্থা ড্রোন এবং চালকবিহীন কোনও যান ওড়াতে পারবে না।

তবে আইনশৃঙ্খলা জনিত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের সংস্থাগুলিকে এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হচ্ছে। যার ফলে গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডিং ইয়ার্ড সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় এই নিষেধাজ্ঞা বলবত হচ্ছে। কারণ গার্ডেনরিচেই তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক রণতরী আইএনএস হিমগিরি। তাই এই সমস্ত জায়গায় ড্রোনের আনাগােনা বিপজ্জনক হতে পারে।


এর আগেই ভারতীয় নৌবাহিনীর সাদার্ন কমান্ড নৌঘাঁটি গুলির ৩ কিলােমিটারের মধ্যে কোনও ড্রোন বা চালকবিহীন উড়ন্ত যান দেখতে পেলে সেগুলিতে সরাসরি গুলি করে ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, জম্মুতে ড্রোন হামলার পর প্রতিরক্ষা পরিকাঠামােকে আরও মজবুত করতে ভারতীয় বায়ুসেনা ১০ টি অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম কিনতে চলেছে। এই অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম কেনার জন্য ইতিমধ্যেই ‘লেটার ফর রিকোয়েস্ট’ জারি করেছে বায়ুসেনা। সেখানে বলা হয়েছে ১০ টি ড্রোন বিধ্বংসী সিস্টেম কেনা হবে।

সেগুলিকে লেজার রশ্মির উপর ভিত্তি করে তৈরি ‘ডিরেক্ট এনার্জি ওয়েপন’ হতে হবে। অর্থাৎ ওই হাতিয়ারগুলি লেজার রশ্মি ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের ড্রোন ধ্বংস করবে। এই ধরনের হাতিয়ার ভারতের হাতে এলে পাকিস্তান ও চিন সীমান্তে থাকা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে মােতায়েন করা হবে।