রক্ষাকবচ পেলেন না রাজীব কুমার, ফের শুনানি আজ

রাজীব কুমার (Photo: Kuntal Chakrabarty/IANS)

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চে আইপিএস রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদনটির শুনানি হল বুধবার বেলা আড়াইটা থেকে চারটে পর্যন্ত। এই শুনানি পর্বে এজলাসে মিডিয়ার নিষেধাজ্ঞা ছিল। শুধু বাদি এবং বিবাদি পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। বুধবার, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে ফের শুরু হবে এই মামলার শুনানি।

বুধবার শুনানিতে আইপিএস রাজীব কুমারের গ্রেফতারি এড়াতে রক্ষাকবচ মিলল না। যদিও মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের এই ডিভিশন বেঞ্চের মামলাকারী আইনজীবীদের প্রতি পরামর্শ ছিল— আইপিএস রাজীব কুমারের উচিত এই মামলায় আত্মসমর্পণ করা।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মধুমতী মিত্রের এজলাসে আইপিএস রাজীব কুমারের দায়ের করা সিবিআইয়ের সমন খারিজ মামলায় রাজীবের উপর থাকা আইনি রক্ষাকবচ তুলে নিয়েছিল। এই ১২ দিনের মধ্যে পাঁচটি এজলাসে এই মামলা ঘুরেছে। প্রথম দিকে বারাসতের স্পেশাল কোর্ট থেকে ডিস্ট্রিক্ট জাজের কোর্ট। তারপর আলিপুর আদালতে এসিজেএম এজলাস থেকে জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে। সবেতেই রাজীব কুমারের বিপক্ষে গিয়েছে মামলার রায়দানে কিংবা বিচারকদের পর্যবেক্ষণে।


বারাসতের জেলা আদালতের দুটি এজলাস এই মামলায় এক্তিয়ার নেই বলে কোনও রায়দান দেয়নি। আবার আলিপুর আদালতে এসিজেএম সিবিআইয়ের গ্রেফতারি পরােয়ানা ইস্যুতে মান্যতা না দিলেও আইপিএস রাজীব কুমারকে গ্রেফতারে বাধা নেই বলে জানিয়ে দেয়। আবার আলিপুরের জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে আইপিএস রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে অবিলম্বে হেফাজতে নেওয়া উচিত বলে রায়দান ঘটে।

এরপরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চে গত সােমবার গােয়েন্দাপ্রধানের স্ত্রী সঞ্চিতা কুমার আইনজীবীর মাধ্যমে আগাম জামিনের আবেদন করে থাকেন। সেই দিনই দ্রুত শুনানি চেয়েছিলেন রাজীবের আইনজীবী। সেই আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট পরামর্শ দেয়, রাজীব কুমারকে আত্মসমর্পণ করার জন্য। বুধবার দুপুরে এই মামলায় বেলা আড়াইটা থেকে চারটে পর্যন্ত শুনানি চলে। সেখানে সাংবাদিকদের পাশাপাশি মামলা শােনার আগ্রহী ব্যক্তিদের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। যেমনটি বিচারপতি মধুমতী মিত্রের এজলাসে সিবিআইয়ের সয়াল শুরু হওয়ার সময় রাজীবের আইনজীবীর আবেদনে ঘটেছিল।

বুধবারও সেই একই ছবি দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন রাজীবের পক্ষে আইনি রক্ষাকবচ মিলল না অর্থাৎ সিবিআই অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতেও পারে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে।