সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে প্রথম থেকেই কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ই তৎপর। এক্ষেত্রে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ফুটপাথে চলাচলের ক্ষেত্রেও জোর দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ফুটপাথ নিয়ে নয়া নীতি আসতে চলেছে। রাস্তার কতটা অংশ গাড়ি চলাচলের জন্য বরাদ্দ থাকবে আর কতটা অংশ পথচারীদের হাঁটার জন্য থাকবে তা নিয়েই তৈরি হবে নতুন পলিসি। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক সমস্ত রাজ্য থেকে এই সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে। সব রাজ্যের তথ্য দেখে তারপরই স্থির হবে নয়া নিয়ম।
জানা গিয়েছে, ফুটপাথ থেকে শুরু করে ফুটওভার ব্রিজ এবং সাবওয়ে সব বিষয় নিয়েই তথ্য চাওয়া হয়েছে। এই রাজ্যের শহরের রাস্তা দেখে পূর্ত এবং নগরোন্নয়ন দপ্তর। আর গ্রামের রাস্তা দেখে পঞ্চায়েত দপ্তর। ইতিমধ্যেই নগরোন্নয়ন দপ্তরের থেকে ফুটপাথের বিষয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আর বাকি দপ্তর থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ফুটপাথ নিয়ে মূলত হকারদের ভিড় বিষয়টিকেই সমস্যা হিসেবে দর্শিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, ফুটপাথের অর্ধেক অংশ জুড়ে থাকে হকাররা। ঠিকমতো হাঁটা যায় না। ফলত পথচারীদের রাস্তায় নেমে আসতে হয়।
সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রককে ফুটপাথ নিয়ে সব রাজ্যের জন্য একটাই নীতি আনার কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি রাজ্য এই একই নীতি মেনে চলবে। রাস্তার পরিমাপ অনুযায়ী ফুটপাথ বরাদ্দ থাকবে। তবে নবান্নের পক্ষ থেকে বক্তব্য, এই ধরণের নীতি বাস্তবায়িত করা খুবই কঠিন। ফুটপাথের দখলদারি বন্ধ করতে আদালতও নির্দেশ দিয়েছে। কলকাতা পুরসভা এই নিয়ে সরব হয়েছিল। বেশ কয়েকদিন অভিযান চালালেও অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। কিছুদিনের মধ্যেই ফের একই অবস্থা হয়। এবার রাজ্যের তিন দপ্তর থেকেই তথ্য সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রককে পাঠানো হবে। সব রাজ্যের রিপোর্ট দেখার পরই তৈরি হবে নয়া নীতি।