• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগকারী নয়া সেতু হুগলি নদীতে

হুগলি নদীর বুকে তৈরি হতে চলেছে এক নতুন সেতু, যা বারাণসী-কলকাতা চার লেনের এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে উঠবে।

হুগলি নদীর বুকে তৈরি হতে চলেছে এক নতুন সেতু, যা বারাণসী-কলকাতা চার লেনের এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে উঠবে। রাজ্যের জনপথ দপ্তর (পিডব্লিউডি) সূত্রে খবর, প্রস্তাবিত সেতুটি নির্মিত হবে হাওড়ার বাগনান এলাকায়, যা নদীর অপর প্রান্তে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুজালি অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবে।

বর্তমানে হুগলি নদীর উপর ভরসা রাখতে হয় তিনটি সেতুর উপর। ঐতিহ্যবাহী হাওড়া ব্রিজ (রবীন্দ্র সেতু), বিদ্যাসাগর সেতু এবং নিবেদিতা সেতু। স্বাধীনতার আগে তৈরি হাওড়া ব্রিজের বয়স প্রায় এক শতাব্দীর কাছাকাছি, বাকি দুই সেতু আধুনিক কাঠামোয় শহরের ভার বহন করছে। এবার চতুর্থ সেতুটি তৈরি হলে, শহর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সংযোগ আরও মজবুত হবে বলেই মনে করছে প্রশাসন।

Advertisement

প্রথমে পরিকল্পনা ছিল, বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে পুরুলিয়া দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করে বাগনানে এসে বম্বে রোডের সঙ্গে মিলিত হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার নতুন প্রস্তাব দেয়, বাগনান থেকে হুগলি পার হয়ে সরাসরি পুজালি পর্যন্ত সেতু নির্মাণ করা হোক। কেন্দ্রীয় সরকার সেই প্রস্তাবে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও চূড়ান্ত রুট এখনও নির্ধারিত হয়নি।

Advertisement

৬২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলি জেলা অতিক্রম করে কলকাতায় পৌঁছবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ (এনএইচএআই), আর জমি অধিগ্রহণের দায়িত্ব রাজ্যের। প্রায় ১৬ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকার বিশাল ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে এই প্রকল্প।

চলতি এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে বারাণসী থেকে কলকাতা পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র ৬ ঘণ্টা। যা বর্তমানে লাগে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। তবে নতুন সেতু নির্মাণ ও রুট সংশোধনের কারণে পুরো কাজ শেষ হতে আরও এক বছর সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজ্য প্রশাসনের মতে, নতুন এই সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে শুধু যাতায়াত সহজ হবে না, বরং কলকাতা–দিল্লি সংযোগকারী ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের ওপর চাপও অনেকটা কমবে। শিল্প, বাণিজ্য এবং পর্যটনের ক্ষেত্রেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement