দক্ষিণ কলকাতার নামী স্কুলের কাচ ভেঙে বিপত্তি। আহত স্কুলের নবম শ্রেণির দুই পড়ুয়া। তাদের মধ্যে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও অপরজনকে ভর্তি করানো হয়েছে ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে।
সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ সার্দান অ্যাভিনিউয়ের ওই স্কুলে প্রতিদিনের মতো তখন প্রবেশ করছে পড়ুয়ারা। সপ্তাহের প্রথম ক্লাস শুরুর আগে তখন সরগরম পরিবেশ। ঠিক তখনই স্কুল ভবনের উপর থেকে কাচ ভেঙে পড়ে পড়ুয়াদের উপর। আর তাতেই জখম হয় তিনজন। যদিও স্কুলের তরফ থেকে দুই পড়ুয়ার আহত হওয়ার কথা দাবি করা হয়েছে। তড়িঘড়ি আহত পড়ুয়াদের উদ্ধার করতে আসে অন্যান্য পড়ুয়ারা। ছুটে যান অভিভাবক থেকে শুরু করে শিক্ষকরাও। তারপরেই তাদের উপর থেকে ভাঙা কাচের টুকরো সরিয়ে উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
স্কুল সূত্রে খবর, একজনের হাত এবং একজনের মাথায় চোট লেগেছে। যার হাতে চোট লেগেছে তাকে স্কুলের মধ্যেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অপরজনের অবস্থা সামান্য আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকেরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে করে তাঁদের অভিযোগ, ‘ফি দেওয়া সত্ত্বেও স্কুলে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নেই। নেই ফাস্ট এড পরিষেবাও।’ শুধু তাই নয়, পড়ুয়াদের বাবা-মায়েদের অভিযোগ, কোনও দিন প্রিন্সিপ্যাল প্যারেন্ট টিচার মিটিং করেন না। তাঁদের সাথে দেখা করেন না প্রিন্সিপ্যাল বলেও অভিযোগ।
Advertisement
এ দিন ঘটনার কথা শুনেই স্কুলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান স্থানীয় বিধায়ক দেবাশিস কুমার। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার সঙ্গে নিরাপত্তা জোর দেওয়া প্রয়োজন। আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল’। অন্যদিকে পরিস্থিতি ক্রমেই হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে থাকলে স্কুলের পৌঁছায় টালিগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পরে অভিভাবকদের সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চান স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল অরিজিৎ মিত্র। তিনি বলেন, ‘একটি শেড ছিল নিরাপত্তার স্বার্থে। কিন্তু ফায়ার লাইসেন্সের জন্য ওই শেডটি খুলে দেওয়া হয়। অ্যাম্বুল্যান্স চালককে শোকজ করা হয়েছে’। তারপরেই ধিরে ধিরে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
Advertisement



