‘মাদার ডেয়ারি’ মার্জ হয়ে নতুন নাম পেল ‘বাংলার ডেয়ারি’

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

মাদার ডেয়ারির সঙ্গে বাংলার ডেয়ারিকে একত্রিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠকে। আর তার ফলে মাদার ডেয়ারির নাম পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘মাদার ডেয়ারি ক‍্যালকাটা এবং বাংলার ডেয়ারির নাম শুনেছেন। মাদার ডেয়ারির পুরোটা বাংলার ডেয়ারির সঙ্গে মার্জার হল। এবার থেকে বাংলার ডেয়ারি নামে এটি বাজারে পাওয়া যাবে। আজ থেকে মাদার ডেয়ারির কোনও অস্তিত্ব থাকবে না।’

এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দুটি জায়গায় দুটি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যেখানে প্রতিটি কেন্দ্র ৮০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার অধিকারী হবে। অর্থাৎ মোট উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়াবে ১,৬০০ মেগাওয়াট। এই প্রকল্পে আগামী ২৫ বছরের জন্য জমি বরাদ্দ করা হবে এবং প্রয়োজন হলে আরও ৫ বছর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব হবে।

জানা গিয়েছে, ওয়্যারহাউস সংক্রান্ত পরিকল্পনাও মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে আলোচনায় উঠে এসেছে। চন্দ্রিমা জানিয়েছেন, নাহার ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্টারপ্রাইজেজ লিমিটেড ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা জানিয়েছিল। এ জন্য রাজ্যের ১১.৩৫ একর জমি পুনরায় বরাদ্দ করা হয়েছে। এই ওয়্যারহাউসিং সুবিধা প্রদান করা হবে অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্টের মতো বড় সংস্থাগুলির জন্য।


শিল্পন্নোয়নকে রাজ্যের মূল লক্ষ্য হিসেবে তুলে ধরে হাওড়ার অঙ্কুরহাটিতে তৈরি করা হচ্ছে জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি পার্ক। এখানে ২০৮৪.২৬ বর্গফুট জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। ০.৫ একর জমিতে থাকবে টেকনিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্কিলড ডিপার্টমেন্ট, যেখানে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। ডাব্লিউবিআইডিসি এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

এছাড়া আরও চারটি প্লট তৈরি করা হবে ৩০.৪২ একর জমিতে। পানাগডে ১.৩৭ একর এবং ২.৭৭ একর জমি হরিণঘাটার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরীর জন্য ১১৫ একর জমি প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য, এসব উদ্যোগের মাধ্যমে শিল্প-পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনীতির ভিত্তি আরও মজবুত করা।