• facebook
  • twitter
Friday, 4 October, 2024

কলকাতায় শ্যুটিং চলাকালীন আচমকা স্ট্রোক, হাসপাতালে মিঠুন চক্রবর্তী

কলকাতা, ১০ ফেব্রুয়ারি: শ্যুটিং চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। শহর কলকাতার বুকেই শ্যুটিং চলছিল তাঁর। আজ সকালে সেখানে আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন। সাড়ে দশটা নাগাদ মিঠুন চক্রবর্তীকে ইএম বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেসময় তিনি চেতনা হারিয়ে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে টানার এমআরআই করা হয়। সেই এমআরআই রিপোর্টে

কলকাতা, ১০ ফেব্রুয়ারি: শ্যুটিং চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। শহর কলকাতার বুকেই শ্যুটিং চলছিল তাঁর। আজ সকালে সেখানে আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন। সাড়ে দশটা নাগাদ মিঠুন চক্রবর্তীকে ইএম বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেসময় তিনি চেতনা হারিয়ে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে টানার এমআরআই করা হয়। সেই এমআরআই রিপোর্টে জানা যায়, অভিনেতার স্ট্রোক হয়েছে।

চিকিৎসকরা এটিকে ইস্কিমিক স্ট্রোক বলছেন। অর্থাৎ মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধেছে। সেজন্য সেখানে অক্সিজেন পরিবহণে ব্যাঘাত ঘটার কারণে স্ট্রোক হয় তাঁর। চিকিৎসকদের কড়া নজরদারিতে রয়েছেন তিনি। তবে এখনই কোনও অস্ত্রপোচারের দরকার নেই। হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।

যদিও এদিন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মিঠুনের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। কিছুই হয়নি ‘মহাগুরু’র। হাসপাতালে তাঁর রুটিন চেক আপ করা হচ্ছে। শনিবার মিঠুনের পুত্রবধূ মাদালসা শর্মা এই দাবি করেন। একই দাবি করেন অভিনেতার পুত্রও। তিনি বলেন, ‘‘বুকে ব্যাথা, এ সব ভুল কথা। রুটিন-চেকআপের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে।’’ পুত্রবধূ মাদালসার এই মন্তব্যের পর সন্ধ্যেবেলা হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিন সেই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। বুলেটিনে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে ওই মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর শরীরের ডানদিকের হাত পায়ে দুর্বলতা অনুভব করছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মস্তিষ্কের এমআরআই সহ অন্যান্য জরুরি পরীক্ষাগুলি করা হয়। পরীক্ষার পর জানা যায়, ৭৩ বছর বয়সী অভিনেতার ইস্কিমিক স্ট্রোক হয়েছে। বর্তমানে তাঁর জ্ঞান ফিরেছে। তিনি সম্পূর্ণ সজাগ আছেন। এবং মুখ দিয়ে হালকা খাবার গ্রহণও করছেন। তাঁকে সবসময় পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে একজন নিউরো-চিকিৎসক, কার্ডিওলজিস্ট এবং একজন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট রয়েছেন।

অভিনেতা মিঠুনকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসকদের প্রথমেই ধারণা হয়, অভিনেতার স্ট্রোক হয়ে থাকতে পারে। সেইমতো টেস্ট শুরু হয়। রিপোর্ট পাওয়ার পর চিকিৎসকদের সেই প্রাথমিক ধারণাই সত্যি বলে প্রমাণিত হয়। এখন তাঁর জ্ঞান ফিরেছে। বর্তমানে ওই হাসপাতালের নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সঞ্জয় ভৌমিকের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।

জানা গিয়েছে, একাধিক শারীরিক জটিলতা রয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর। অভিনেতার বুকে ব্যথা আছে। এছাড়া শরীরের একদিক দুর্বল হয়ে পড়েছে তাঁর। এদিন তিনি তাঁর নিজের গাড়ি করেই হাসপাতালে আসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। বর্তমানে তাঁর নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর কী চিকিৎসা হবে বা কী হয়েছে সেটা স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাবে।

বর্তমানে মিঠুন চক্রবর্তী কলকাতায় থেকে তাঁর আগামী ছবি ‘শাস্ত্রী’র শুটিং করছিলেন। এই ছবিটি জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর ভিত্তি করে বানানো হচ্ছে। ছবিটির পরিচালনা করছেন পথিকৃৎ বসু। সোহম চক্রবর্তীর সংস্থা প্রযোজনার দায়িত্বে। এখানে মিঠুনের সঙ্গে দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেবশ্রী রায়কে দেখা যাবে।