• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

বেপাত্তা শুভেন্দু! কেরলে মৃত নন্দীগ্রামের পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ ফেরালেন অভিষেক

সসম্মানে মরদেহ যেন তাঁর বাড়িতে পৌঁছয়, সেই দায়িত্ব অভিষেক অর্পণ করেন তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্যের কাঁধে

সংসার চালাতে সুদূর কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক ভীমচরণ বারিক। গোটা পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধেই। তবে ভাগ্যের পরিহাস! দুর্ভাগ্যবশত, কর্মস্থলে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। তবে মৃত্যুর পর জটিলতা বাড়ে। পরিবারের পক্ষে মরদেহটি বাড়ি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। এমতবস্থায় আবারও পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
তৎপরতার সঙ্গে মরদেহটি বাড়িতে ফিরিয়ে আনলেন তিনি। ৪৫ বছর বয়সী ভীমচরণ নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ার বাসিন্দা। সেই সূত্রে ভীমচরণের মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে প্রথমে স্থানীয় বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দ্বারস্থ হয় পরিবার। অভিযোগ, অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও ভীমচরণ বারিকের পরিবার শুভেন্দুর কাছ থেকে কোনও সাহায্য বা সহানুভূতি পাননি! এরই মাঝে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি সাংসদ অভিষেকের শ্রুতিগোচর হতেই পদক্ষেপ করেন তিনি।
সসম্মানে মরদেহ যেন তাঁর বাড়িতে পৌঁছয়, সেই দায়িত্ব অভিষেক অর্পণ করেন তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্যের কাঁধে। শুক্রবার অভিষেকের নির্দেশ মত দেবাংশু দমদম বিমানবন্দর থেকে ভীমচরণ বারিকের মরদেহ নিজে সঙ্গে করে তা নন্দীগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দেন – যাতে তাঁর শেষযাত্রা অসম্মান নয়, মর্যাদার সঙ্গে সম্পন্ন হয়। পাশাপাশি অভিষেকের তরফ থেকে মৃতের পরিবারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন দেবাংশু। এদিন দেবাংশুর সঙ্গে ছিলেন পিংলা বিধানসভার বিধায়ক অজিত মাইতিও।
মৃতের পরিবারের উদ্দেশ্যে সাংসদ অভিষেকের বার্তা, ‘ভীমচরণ বারিকের অকাল প্রয়াণে গভীর ভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবার-পরিজনদের সমবেদনা জানাই এবং বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।’ পাশাপাশি অভিষেক ফুল পাঠিয়ে সম্মানও জানিয়েছেন মৃত ভীমচরণকে। সংশ্লিষ্ট বিষয়টি সমাজমাধ্যমে জানিয়ে এবং শুভেন্দুর উদাসীনতার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস লিখেছে, ‘আমাদের কাছে রাজনীতি নয়, জনসেবাই আসল ভিত্তি।’

Advertisement

Advertisement