পহেলগামে নিরীহ ভারতীয়দের হত্যার প্রত্যাঘাত করেছে ভারতীয় সেনা। ৭ই মে মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে ৯টি পাক জঙ্গি আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে তাঁরা। এদিকে পাকিস্তানও ভারতের এই প্রত্যাঘাতের নিন্দা করে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এমতাবস্থায় দেশের সীমান্তের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বুধবার সীমান্ত লাগোয়া দশটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে দেশের অবস্থা নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীদের থেকে মতামত গ্রহণের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, শীর্ষ আধিকারিকরা বিভিন্ন রাজ্যের কারা দপ্তরগুলির সঙ্গে কথা বলেছে। সেখানকার জেলে যে সকল পাক জঙ্গিরা বন্দি তাঁদের উপর বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের জেলে প্রায় আটজন পাক জঙ্গি বন্দি রয়েছে। এঁদের মধ্যে জাভেদ মুন্সি, শাহবাজ ইসমাইল, মহম্মদ মসিউদ্দিন প্রত্যেকেই খুবই কুখ্যাত। কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে থাকা মহম্মদ মসিউদ্দিন যথেষ্ট আগ্রাসী মনোভাবপূর্ণ আইএস জঙ্গি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর মানববর্জ্য ছুড়ে মারার অভিযোগ রয়েছে। এরপর তাঁর উপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে নিয়ে সর্বদাই তটস্থ। জেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অতিরিক্ত সিসিটিভি লাগিয়ে তাঁর গতিবিধির উপর নজর রাখার চেষ্টা করা হয়। জানা গিয়েছে, মসিউদ্দিন সেই সকল সিসিটিভিতে মানববর্জ্য লাগিয়ে দিয়েছিল। এই আবহে মসিউদ্দিন-সহ আরও বেশ কয়েকজন বন্দি পাক জঙ্গির উপর বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের কারা দপ্তরের ডিজি লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা জানিয়েছেন, কেবল বর্তমান পরিস্তিতে নয়, সব সময়ই এই পাক বন্দিদের উপর বাড়তি নজর রাখা হয়। তবে বর্তমানে কোনও জটিলতা যাতে না বাড়ে সেই জন্য এই বন্দিরা যাতে জেলের অন্য কারও সঙ্গে কথাবার্তা না বলতে পারে সেইদিকটিও বিশেষভাবে দেখা হচ্ছে।