পাহাড়ে দুয়ারে রেশনে গতি আনতে বৈঠক, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের সঙ্গে বিমল গুরুং ও রোশন গিরি

রেশন ডিলারদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্বপ্নের প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে।

Written by দেবাশিস দাস Darjeeling | November 26, 2021 6:23 pm

দুয়ারে রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জোরকদমে। বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে খাদ্য দফতর। রেশন ডিলারদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্বপ্নের প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে।

আমজনতার দুয়ারে সরকার রেশন পৌঁছে দেবে, এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে রাজ্যের ৬৪ শতাংশ মানুষের রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক করানো সম্ভব হয়েছে। বাকি কাজে গতি আনার জন্য খাদ্য দফতরের প্রক্রিয়া জারি রয়েছে।

এই প্রকল্পে গতি আনতে কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ড লিঙ্ক করাচ্ছেন। জঙ্গলমহল এবং পাহাড়ে এই কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। মানুষের দুয়ারে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই কাজে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্ন থেকে পুরো বিষয়টি মনিটরিং করছেন। এই দফতরের সচিব পারভেজ সিদ্দিকি বৃহস্পতিবার পাহাড় সফর শেষ করে কলকাতায় ফিরেছেন।

পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় দুয়ারে রেশন পৌঁছে দিতে খাদ্য দফতরের সচিবকে উত্তরবঙ্গে পাঠিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। খাদ্য দফতরের সচিব পারভেজ সিদ্দিকি দুয়ারে রেশন প্রক্রিয়ার গতি আনতে কোথায় কী ধরনের খামতি রয়েছে এবং তার সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হন।

জনগণ যাতে তাদের প্রাপ্য সঠিকভাবে পান, তার জন্য খাদ্য দফতরের আধিকরিকরা সক্রিয় হয়েছেন। পাহাড়ের এক প্রতিনিধি দল বিমল গুরুং ও রোশন গিরির নেতৃত্বে কলকাতায় এসে বৃহস্পতিবার খাদ্য ভবনে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করেন।

পাহাড়ে বেশ কিছু অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকায় রেশনসামগ্রী কীভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়ে এদিন বিশদে খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন বিমল গুরুং ও রোশন গিরিরা।

সেই সঙ্গে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্কের সংযোগে গতি আনার কথাও এদিনের বৈঠকে বিশেষভাবে উঠে আসে। পাহাড়ের কয়েক লক্ষ মানুষের দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এদিন ১ ঘণ্টারও বেশি বৈঠক হয় খাদ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে।

এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানান, পাহাড় ও জঙ্গলমহলের মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুয়ারে রেশন প্রকল্প তারই মস্তিষ্ক প্রসূত। এই পরিকল্পনাকে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে এই বৈঠক।

শুরুতে কিছু সমস্যা থাকে সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠে এই প্রকল্পকে আমজনতার কাছে পৌঁছে দিতেই এই বৈঠকের আয়োজন। এদিনের বৈঠকের পর রীতিমতো খোশ মেজাজে দেখা গিয়েছে বিমল গুরুং এবং রোশন গিরিদের।

এ প্রসঙ্গে তারা জানিয়েছেন, মানুষের কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ পাহাড়ের মানুষের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। দুয়ারে রেশন প্রকল্প ইতিমধ্যে পাহাড়ের মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।