• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

রাজ্য পুলিশে বড়সড় রদবদল, একযোগে সব জেলায় জারি বিভাগীয় নির্দেশ

প্রশাসনিক কাজের গতি বাড়াতে, অভিজ্ঞতাকে বিভিন্ন অঞ্চলে কাজে লাগাতে এবং থানা পরিচালনায় আরও নজরদারি বাড়াতে এমন বদলি করা হয়।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল রাখতে বড়সড় রদবদলের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য পুলিশ। মোট ১৬৮ জন পুলিশকর্তার বদলির নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য পুলিশের দপ্তর। এই নির্দেশে শুধু ১০০-রও বেশি পুলিশ ইন্সপেক্টরকে স্থানান্তর করা হয়েছে। দপ্তরের তরফে ‘জনস্বার্থে’ এই বদলি বলে জানানো হয়েছে। নির্দেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ‘অবিলম্বে’ যোগ দিতে হবে নতুন কর্মস্থলে।

এদিন এডিজি আইন-শৃঙ্খলা’র দপ্তর থেকে জারি করা এই নির্দেশে বলা হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা, মহকুমা, পুলিশ কমিশনারেট, বিশেষ দপ্তর, সাইবার দপ্তর, সিআইডি, আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্ত দপ্তর, ভিজিলান্স কমিশন-সহ বহু শাখায় কর্মরত ইন্সপেক্টরদের নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বদলির তালিকায় রয়েছে ঝাড়গ্রাম, মালদা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর-দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ রাজ্যের প্রায় সব জেলার নাম।

Advertisement

নয়াগ্রাম, নয়াদীঘি, সোনামুখী, কেশিয়াড়ি, তমলুক, মথাভাঙ্গা, রতুয়া, সিঙ্গুর, ধনেখালি, গোপীবল্লভপুর, বারাসত, রাজগঞ্জ, কালনা, কড়েচা, ডোমকল, ফারাক্কা, বাগুইআটি, হলদিয়া, সিঙ্গুর, হবিবপুর, মানিকচক, চাঁচল, খেজুরিতে নতুন আইসি নিয়োগ করা হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও সাইবার অপরাধ দপ্তরের আধিকারিককে পাঠানো হয়েছে থানার দায়িত্বে। আবার কোথাও ট্রাফিক বিভাগ থেকে পাঠানো হয়েছে জেলা পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে।

Advertisement

দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কথায়, ‘এই বদলিগুলি সময়ে সময়ে হয়। প্রশাসনিক কাজের গতি বাড়াতে, অভিজ্ঞতাকে বিভিন্ন অঞ্চলে কাজে লাগাতে এবং থানা পরিচালনায় আরও নজরদারি বাড়াতে এমন বদলি করা হয়।’ যদিও রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের দাবি, উৎসবের মরসুম শেষ হতেই এবং বিভিন্ন জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সরকার প্রশাসনিক রদবদলের পথে হাঁটল।

তবে এত বিপুল সংখ্যক বদলির নির্দেশে পুলিশ মহলে যথেষ্ট শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বেশ কিছু থানায় দীর্ঘদিন পদে থাকা আধিকারিককে সরিয়ে নতুন মুখ বসানো হয়েছে। নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে, আগের কোনও পোস্টিং অর্ডার যদি এই তালিকার সঙ্গে সামঞ্জস্য না হয়, তবে এই নতুন নির্দেশই বাতিল বলে গণ্য হবে।

উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন থানায় নিত্যদিনের কাজ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, সাইবার অপরাধ দমন, জেলা পর্যবেক্ষণ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং সাধারণ মানুষের অভিযোগ গ্রহণ— এই সব ক্ষেত্রেই এই প্রশাসনিক রদবদলের প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে রাজ্যের পুলিশ মহল। এই নির্দেশের পর সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বেশিরভাগই ইতিমধ্যেই নতুন কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

Advertisement