অবৈধ সম্পর্কের জেরে মহিলাকে কাটারির কোপ

প্রতীকী ছবি (Photo: iStock)

অবৈধ সম্পর্কের জেরে প্রনয়ীকে খুন করতে উদ্ধত হল প্রেমিক। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁশদ্রোনী থানা এলাকায়। গন্ডােগােলের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় স্থানীয় থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে।

মধ্যবয়স্ক ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযােগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর বুধবার (সাড়ে দশটা নাগাদ) বাঁশদ্রোনী এলাকার শ্রীজিতা অ্যাপার্টমেন্টের সামনে গন্ডােগােলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় বছর ৪৫-এর রেহানা খাতুনকে উদ্ধার করে জোকার ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


তদন্তকারী আধিকারিকদের নিগৃহীতার বছর ২২ এর ছেলে জানায়, রেহানাকে কাটারির কোপ মারে জনৈক সঞ্জয় রায়। তার মাকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে ওই ব্যক্তি সেখানে হাজির হয়। বর্তমানে ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই মহিলা।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা মধ্যবয়স্ক সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় রেহানা খাতুন। গত সাত বছরের ওপর দুজনের মধ্যে সম্পর্ক। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে একমাত্র ছেলের সঙ্গেই থাকেন রেহানা খাতুন। তবে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কেই বাঁশদ্রোনী এলাকায় নিজের স্বামী বলে পরিচয় দেয় রেহানা।

অন্যদিকে বিবাহিত ও এক সন্তানের বাবা সঞ্জয় রায় নিজের স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন না। কাকুরগাছির একটি খাবারের দোকানে সাফাইকর্মীর কাজ করেন সঞ্জয়। রেহানা একটি বেসরকারি সংস্থায় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন।

সম্প্রতি সঞ্জয় জানতে পারে রেহানা অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়েছে। সেই সূত্রেই মুর্শিদাবাদের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করার ছক কষেছে রেহানা। এই খবর শুনেই রাগের বশে এদিন বাঁশদ্রোনীতে রেহানার ফ্ল্যাটে হজির হয় সঞ্জয়। রীতিমতাে খুন করার পরিকল্পনা নিয়েই গড়িয়াহাট থেকে একটি কাটারিও কেনে সে।

রেহানা এদিন কাজে যাওয়ার সময় তার পথ আটকায়। উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি চলতে থাকে। সেই সময় আচমকাই রেহানাকে ঘাড়ের ওপর কাটারির কোপ মারতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে বাঁশদ্রোনী থানার পুলিশ।