মেমারিতে মতুয়াদের ক্ষোভে মমতাবালা

প্রতীকী ছবি (ছবি: iStock)

শুক্রবার মেমারি পারিজাতনগরে থাকা হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরের বাৎসরিক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ঠাকুরবাড়ির বড়মা তথা বনগাঁ লােকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর উপস্থিত হন। বছর দেড়েক আগে এই এলাকায় মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ সহ নেতৃত্ব এসে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মতুয়া ভক্তদের।

তবে প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় বিশেষ করে এলাকার রাস্তা নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ ছিল। ফলে উপস্থিত মেমারি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নার্গিস গেমকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় এবং মমতাবালা ঠাকুরের কাছেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়।

এদিন নেতৃত্বের মধ্য উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ সভাপতি তথা মেমারি পুরপ্রশাসক স্বপন বিষয়ী, জেলা সাধারণ সম্পাদক স্বপন ঘােষাল ও সুপ্রিয় সামন্ত যিনি মেমারি পুরসভার সহ প্রশাসক, মেমারি ১ ও ২ ব্লক সভাপতি মধুসূদন ভট্টাচার্য ও মহঃ ইসমাইল, সহ সভাপতি সেখ মােয়াজ্জেম ও সন্দীপ পরামানিক, মেমারি শহর সভাপতি অচিন্ত্য চ্যাটার্জী, সহ সভাপতি আশিষ ঘােষদস্তিদার, শহর সংখ্যা লঘু সেলের সভাপতি ফারুক আব্দুল্লা সহ নেতৃত্ব।


বিক্ষোভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে নামেন মেমারি পুরসভার প্রশাসক স্বপন বিষয়ী ও সহ প্রশাসক সুপ্রিয় সামন্ত। পৌরসভার পক্ষ থেকে একটি কমিউনিটি টয়লেট এই এলাকায় করে দেবেন বলে জানান প্রশাসক। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় বঞ্চিত মতুয়া ভক্তবৃন্দ হাতের কাছে মমতা বালা ঠাকুর ও নেতৃত্বকে পেয়ে তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয়।

যদিও তারজন্য নেতৃত্ব ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এলাবাসীর কাছে। এদিন পারিজাত নগর থেকে বেরিয়ে মমতাবালা ঠাকুর রসুলপুরে রােড শাে করেন। এরপর মহেশ ঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় একটি জনসভা করেন। সেখান এনআরসি ইস্যু নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা অমিত শাহকে একহাত নেন তিনি।