রাজনীতির মাঠে সবই সম্ভব। ফলপ্রকাশের আগে ভােটের প্রচারে যাদের গদ্দার-বেইমান-মির্জাফর বলেছেন তৃণমূল নেত্রী। সােমবার রাজভবন যাওয়ার আগে কালিঘাটে সাংবাদিকদের জানালেন মমতা-দলে কেউ আসতে চাইলে আসুক না, ওয়েলকাম।
প্রশ্নকর্তা সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল- ‘যারা দলবদল করে বিজেপিতে গেছে, তারা তৃণমূলে ফিরতে চাইলে তাদের নেওয়া হবে কিনা?’। তৃনমূল নেত্রীর দলবদলুদের ‘ওয়েলকাম’এর মধ্যে রয়েছে সুচিন্তিত রাজনৈতিক পরিকল্পনা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
Advertisement
রাজনৈতিক লড়াইয়ে স্বাগত বাণ টি বিরাট অর্থবহ। কেননা বঙ্গ বিজেপির বড় অংশ রয়েছে তৃণমূলের একদা আদি নেতানেত্রীরা। ২০১৪ সালে রয়েছে লােকসভা নির্বাচন। তাই বাংলায় বিজেপি যথার্থ বিরােধী দল হিসাবে অক্সিজেন না পাই। সেজন্য এখন থেকেই তৃণমূলের দরজা খােলা রইলাে দলবদলকারী বিজেপি নেতাদের জন্য।
Advertisement
সিঙ্গুরের রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, ডােমজুড়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বালিতে বৈশালী ডালমিয়া, উত্তরপাড়ায় প্রবীর ঘােষাল, বীজপুরে শুভ্রাংশু রায়, ব্যারাকপুরে শীলভদ্র দত্ত, নােয়াপাড়ার সুনীল সিং প্রমুখরা বিজেপিতে গিয়ে হাতেগােনা কয়েকজন জয় পেয়েছন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়ে।
ভােটের প্রচারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন-শুভেন্দুর মতন মুকুল অতটা খারাপ নয়, বেচারা কে নদীয়ায় দাঁড় করানাে হয়েছে। যদিও মুকুল রায় জিতেছেন বড় বধ্যানে। সােমবার দলবদলকারী নেতাদের ওয়েলকাম জানিয়ে বঙ্গ বিজেপির বিধায়ক শিবিরে দলবদলের তাস খেললেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বাম-কংগ্রেস শুন্য বাংলায় প্রধান বিরােধী দল হিসাবে মজবুত হলে আগামী লােকসভায় যেমন বাংলায় লড়াই জমজমাট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকবে, ঠিক তেমনি ২০২৬ সালের এই রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত বাড়বে। তাই স্বাগত বাণে দলত্যাগী নেতাদের ফিরিয়ে নিয়ে বিজেপি কে দুর্বল কতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Advertisement



