পুলিশকর্মীদের মনোবল বাড়াতে লালবাজারে মুখ্যমন্ত্রী

একদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের যাবতীয় প্রয়োজন মেটাতে তৎপর পুলিশকর্মীরা।

Written by SNS Kolkata | April 1, 2020 6:45 pm

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

দেশজুড়ে লকডাউন। করোনা কোপ থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষ গৃহবন্দি। সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে সচেতনতামূলক প্রচার অব্যাহত।

এদিকে, এই পরিস্থিতিতে কার্যত ‘সব্যসাচী’র ভূমিকায় নেমেছে সমগ্র পুলিশ মহল। একদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের যাবতীয় প্রয়োজন মেটাতে তৎপর পুলিশকর্মীরা। কোনও পুলিশ আধিকারিক রক্তদান করে সহনাগরিকের জীবন বাঁচাচ্ছেন, তো অন্যজন আবার একাকি প্রবীণ নাগরিকের বাড়িতে ওষুধ পৌছে দিচ্ছেন। কোথাও আবার দুস্থ মানুষদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা।

শুধু মানুষ নয়, রাস্তায় পশু-পাখিদের জন্যও খাবার সরবরাহে উদ্যোগী সেই পুলিশকর্মীরাই। রাজ্যের সর্বত্র চিত্রটা একই। পুলিশের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে সমানতালে কাজ করে চলেছেন সর্বক্তরের পুলিশকর্মী, সিভিক ভলেন্টিয়াররা। আর তাই পুলিশকর্মীদের মনোবল বাড়াতে মঙ্গলবার বিকেলে সরাসরি কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেখানে ছিলেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল অনুজ শর্মা সহ অন্য শীর্ষকর্তারা। লালবাজারে মুখ্যমন্ত্রী মিনিট পনেরো ছিলেন। সেখানে দাঁড়িয়ে পুলিশমহলের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। পুলিশকর্মীরা যেভাবে সবদিক সামাল দিচ্ছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। এই সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে সকল পুলিশকর্মীর মিলিত সহযোগিতা তিনি কামনা করেন। কলকাতা পুলিশের শীর্ষকর্তাদের পাশাপাশি সেখানে হাজির অন্যান্য পুলিশকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন।

এই পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশি সময় বাইরে থাকতে হচ্ছে পুলিশকর্মীদের। কাজের কোনও নির্ধারিত সময়েরও ঠিক-ঠিকানা থাকছে না। আর তাই পুলিশকর্মীদের স্বাস্থ্য নিয়েও চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী। করোনা মোকাবিলায় কীভাবে। তারা সুরক্ষিত থাকবেন লালবাজারে হাজির হয়ে তাও তাদের বুঝিয়ে বলেন।

এদিকে, এই পরিস্থিতিতে গোটা পুলিশ পরিবার যেভাবে কাজ করে চলেছেন তাকে সাধুবাদ জানান। করোনা মোকাবিলায় আর কী কী করণীয় শহরবাসীর সুনিশ্চিত করতে তা নিয়ে নগরপাল অনুজ শর্মা সহ অপর পুলিশকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যের মমতাময়ী মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে, আজ বুধবার নেতাজি ইন্ডোরে শুরু হচ্ছে পুলিশের রক্তদান শিবির। শুরু হবে বিকেল ৫টায়। প্রতিদিন ৬০ জন করে রক্ত দেনে। ইতিমধ্যে রক্তদাতাদের নামের তালিকা সংগ্রহ করেছে পুলিশ।