করোনায় এরাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৩। কিন্তু সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৭ করা হয়। এর জন্য দায়ী একটি রাজনৈতিক দলের আইটি সেল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রশাসনিক কার্যালয় নবান্ন থেকে এই অভিযোগ করেছেন। যতদূর জানা গিয়েছে, বিজেপি’র আইটি সেলের দিকেই অভিযোগের তির।
এই নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ভাবমুর্তি মলিন করতে একটি রাজনৈতিক দল এইসব করছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন।
এপ্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা মোকাবিলায় দিনরাত এক করে তাদের সেরাটা উপহার দিচ্ছেন। এই সঙ্কটে কেন্দ্রীয় সরকারের দোষত্রুটি নিয়ে আমরা অভিযোগ করছি না। কারণ, এখন সবকিছু ভুলে করোনা মোকাবিলায় এক হয়ে কাজ করতে হবে। কিন্তু একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের আইটি সেল করোনায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের নাম মুখে না নিলেও বিজেপি’র আইটি সেলের প্রধান অমিত মালিয়া কিন্তু একাধিক টুইট করে অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন মৃতদের সঙ্গে করোনার যোগ যেন না তুলে ধরা হয়।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের মন্ত্রী মখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। সেকারণে স্বাস্থ্য দফতরের ওপর নিজের প্রভাব বিস্তার করে করোনায় মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখাচ্ছেন। এইভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কি লকাতে চাইছেন, এই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অমিত মালব্য। কেন, ২, ৩, ৫ এপ্রিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কোনও মেডিকেল বুলেটিন প্রকাশ করল না সে নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
যদিও আশ্চর্যজনকভাবে ৪ এপ্রিল বুলেটিন প্রকাশ করা হয় বলে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান টুইট করে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, এপ্রিলের ২ তারিখ সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারের তরফে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে কিন্তু একটু পরেই রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান ৭ নয়, করোনাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি যে ৪ জনের কথা বলা হয়েছিল তাদের মৃত্যু হয়েছে অন্য রোগের কারণে। এর সঙ্গে করোনার সম্পর্ক নেই।
এদিকে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ও কেন্দ্রের তরফে করোনার যে আপডেট দেওয়া হচ্ছে, সেখানেও গরমিল চোখে পড়েছে। যদিও এপ্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে সাংবাদিকদের উচিত রাজ্যের দেওয়া তথ্য সকলের সামনে তুলে ধরা। তবে সাংবাদিকদের স্বাধীনতাও রয়েছে তারা কোনও তথ্য অনুসরণ করবেন।