কবিতার ভাষায় মমতার জবানি,’মানি না’

রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপির অপ্রত্যাশিত উত্থানের পর কবিতার ভাষায় বললেন ‘মানি না’।বাংলা,ইংরেজি , হিন্দি একেবারে তিন ভাষাতেই লিখলেন মানি না , আই ডু নট এগ্রি , ম্যায় নেহী মানতী।

Written by SNS Kolkata | May 25, 2019 3:22 pm

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo: IANS)

নির্বাচনের আগের সন্ধেয় নেত্রীর ‘জরুরী’ কবিতায় ছিল গণতন্ত্রকে গুহায় পাঠানাের শ্লেষ।রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপির অপ্রত্যাশিত উত্থানের পর কবিতার ভাষায় বললেন ‘মানি না’।বাংলা,ইংরেজি , হিন্দি একেবারে তিন ভাষাতেই লিখলেন মানি না , আই ডু নট এগ্রি , ম্যায় নেহী মানতী।

গােটা দেশে বিজেপির বিরাট জয়কে তাে মানতেই হয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে।মানতে হয়েছে এই রাজ্যে গেরুয়া ঝড়।এর পরেও তিনি ত্ৰিভাযায় কবিতা লিখে বােঝাতে চাইলেন সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি তিনি মানেন না।বিশ্বাস করেন না সাম্প্রদায়িকতার রঙে।এখনও তিনি বিশ্বাস করেন মানবিকতার আলােকে আলােকিত ধর্ম। তিন ভাষায় কবিতা লিখে সম্ভবত জাতীয় স্তরে বার্তা দিতে চাইলেন মমতা।তিন ভাষার কবিতাতেই তিনি নিজের বিশ্বাসকেই প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন।লিখেছেন-

সাম্প্রদায়িকতার রঙ আমি/ বিশ্বাস করি না ,/ সর্ব ধর্মেই সর্ব উগ্রতা-ন্ম্রতা আছে/আমি নম্র জাগরণের এক/সহিষ্ণু সেবক,/বাংলায় যার উত্থান।/বিশ্বাস করি না সাময়িক উগ্র ধর্ম /বিক্রি করতে-/বিশ্বাস করি মানবিকতার/ আলোকে আলােকিত ধর্ম।ধর্ম বিক্রি যাদের তাস/ ধর্ম পাহাড়ে টাকার বাস??/ আমি থাকি আমার নিজ কর্মে/কর্ম নেই তােমাদের!!!!/তাই বিক্রি  হয় উগ্রতার ধর্মে?/ যাঁরা বিশ্বাস করেন সহনশীলতায়/আসুন,জাগরিত করুন/ একসাথে আসুন সবাই।/ সারা বিশ্ব একটাই দেশ-/তবে এ কি অঙ্ক?/যার উগ্রতাই অভিলাষ।

এই কবিতার মধ্যে দিয়েই মমতা বোঝাতে চেয়েছেন তিনি সর্ব ধর্ম সমন্বয় চান। বিজেপি ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে ভাগ করেছে।এখনও এই অভিযোগ রয়েছে মমতার।

তবে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পর ‘লজ্জিত’ কবিতায় যেভাবে আক্রমণের  তীর শানিয়েছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে , সেই আক্রমণের ধার অনেক কমে এসেছে তাঁর ‘মানি না’।এই কবিতায় তিনি মূলত নিজেকে নম্র জাগরণের এক সহিষ্ণু সেবকই বলতে চাইলেন।