পয়লা জুলাই থেকে মেট্রো চলার ইঙ্গিত মমতার

কলকাতা মেট্রো (File Photo: IANS)

করোনায় আবহে রাজ্যের লকডাউন পরিস্থিতিতে আগামী পয়লা জুলাই থেকে চালু হতে পারে মেট্রো পরিষেবা। শুক্রবার নবান্নে এই ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে রাজ্যের বেসরকারি গণপরিবহণ পরিষেবা সচল করার জন্য আগামী তিন মাস বাস-মিনিবাস পিছু পনেরো হাজার টাকা করে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মেট্রো চালু করা প্রসঙ্গে মমতা এদিন বলেন, কলকাতা মেট্রোর সঙ্গে কথা বলছি। আমি চাই, পয়লা জুলাই থেকে মেট্রো চালু হোক। তবে যত আসন, তত সংখ্যক টিকিট যদি বিক্রি করতে পারে, তাহলে পয়লা জুলাই থেকে মেট্রো পরিষেবা চালু করা যেতে পারে। তবে মেট্রো চালু হলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা একেবারেই আবশ্যিক। যদি মেট্রো কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারে, তাহলেই একমাত্র মেট্রো পরিষেবা চালু করা যায়।

এই বিষয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং মুখ্যসচিব মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নেবে। তবে শুধু মেট্রোই নয় রাজ্যে বেসরকারি বাস-মিনিবাস পরিষেবা চালু করতেও বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। এজন্য জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় ছয় হাজার বাস-মিনিবাস পিছু পনেরো হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা জানালেন মমতা। এজন্য রাজ্য সরকারের খরচ হবে ২৭ কোটি টাকার মতো।


এদিন নবান্নে মমতা বলেন, বাস-মিনিবাস যাতে চালানো যায়, সেজন্য পয়লা জুলাই থেকে আগামী তিন মাস বাস মিনিবাস পিছু পনেরো হাজার টাকা করে অর্থসাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে বেসরকারি বাসের চালক কন্ডাক্টরদেরও এবার থেকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। তবে বাসভাড়া বৃদ্ধি না করার জন্যই বেসরকারি বাস মালিকদের এই ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে।

এদিন পেট্রোল ডিজেলের লাগাতার বৃদ্ধি করার জন্য কেন্দ্রকে দোষেন মমতা। রাজ্যে সরকারি বাসের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। আগামী পয়লা জুলাই রাজ্যে আরও ৫০০ সরকারি বাস নামানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত আনলকডাউন পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি অফিস খুলে গিয়েছে। কিন্তু গণপরিবহণের সংখ্যা কম থাকায় রাস্তায় বেরনো মানুষজনের অসুবিধে হচ্ছে। এইজন্যই সরকারি ও বেসরকারি বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করার পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।

সেইসঙ্গে পয়লা জুলাই নাইট কার্ফু তথা রাতের রেসট্রিকটেড মুভমেন্টেরও সময়সুচিতে বদল আনা হল। রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত বাংলায় টোটাল লকডাউন নীতি বলবৎ থাকবে। সেই সময় নিয়ন্ত্রিত যাতায়াতের নীতি বহাল থাকবে। অন্যদিকে মমতা এদিন কেন্দ্রকে দুষে বলেন, করোনা সংক্রমণ বাড়ছে।

এদিকে অনেক বিমান আসছে। কোনও প্রোটোকল মানা হচ্ছে না। বিদেশ থেকে বিমান চলাচল এই পর্যায়ে স্বাভাবিক করা উচিত হচ্ছে না। মাসে একবার চালালে ঠিক আছে। কিন্তু নিয়মিত আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল করলে করোনা সংক্রমণের ভয় থেকে যাচ্ছে। যেখানে করোনা সংক্রমণ বেশি, সেখান থেকে অন্তর্দেশীয় বিমান আসা বন্ধ করা উচিত বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিচ্ছেন।