• facebook
  • twitter
Friday, 6 December, 2024

বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রকে সমর্থন মমতার

সম্প্রতি ইসকনের সাধু চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। প্রতিবাদের আঁচ পড়েছে ভারতেও। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে।

বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশে ইস্যুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একমত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এবিষয়ে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নিয়ে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থানও স্পষ্ট করে দেন। বুধবারই বাংলাদেশ ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশ নিয়ে মমতা ও অভিষেক দুজনেই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি ইসকনের সাধু চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। প্রতিবাদের আঁচ পড়েছে ভারতেও। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে। পড়শি দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ঢাকাকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত। এবার এ প্রসঙ্গে বিবৃতি দিলেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘আমার সরকারের নীতি হল, অন্য দেশের ব্যাপার হলে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে থাকব। যদি কোনও ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার হয়, আমরা তার তীব্র নিন্দা করি।‌ অন্য দেশেও (বাংলাদেশ) যদি কোনও ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার করা হয়, তাহলে আমরা সেটাকেও সমর্থন করিনি। আমি এখানকার ইসকনের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি।’
বুধবার বাংলাদেশ ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশের ঘটনাকে নিন্দনীয় ও দুর্ভাগ্যজনক বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে বারবারই অবস্থান স্পষ্ট করেছি, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার যে অবস্থান নেবে, দলগতভাবে তার পাশে থাকব। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, যা ঘটেছে, অত্যন্ত নিন্দনীয় ও দুর্ভাগ্যজনক।’
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, কখনও কোনও দেশে কোনও ধর্মের উপর আঘাত মেনে নেওয়া যায় না। তবে বাংলাদেশ ইস্যুতে তিনি আলাদা করে কোনও পদক্ষেপ করবেন না। এই বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকেই সমর্থন করবে তৃণমূল কংগ্রেস।